West Nile fever cases detected in Kerala: কেরল সরকার মঙ্গলবার (৭ মে) জানিয়েছে যে, রাজ্যের তিনটি জেলা- ত্রিশুর, মালাপ্পুরম ও কোঝিকোড় থেকে ওয়েস্ট নাইল ফিভারের খবর মিলেছে। তার মধ্যে সোমবার এই ভাইরাসের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আরও ছয় জনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, কেরলের স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যবাসীকে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
মন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, এনিয়ে অযথা আতঙ্কের কিছু নেই। তবে, কারণ এই রোগের আশঙ্কা থাকলে বা লক্ষণ দেখা দিলে, অবিলম্বে হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কেরল স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস থেকে মারাত্মক স্নায়বিক রোগও দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার ব্যাপার হল, এই রোগে আক্রান্ত ৮০ শতাংশ সংক্রমিতর কোনও লক্ষণ দেখা যায় না।
ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস কী?
ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (WNV) হল একটি মশা-বাহিত, একক-স্ট্রেন্ডেড RNA ভাইরাস। এটি একটি ফ্ল্যাভিভাইরাস। জাপানি এনসেফালাইটিস এবং হলুদ জ্বর সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলোর সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে।
কীভাবে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ছড়ায়?
কিউলেক্স প্রজাতির মশা এই সংক্রমণের প্রধান ভেক্টর হিসেবে কাজ করে। সংক্রামিত মশা, পাখি-সহ মানুষ এবং প্রাণীদের মধ্যে এই রোগ রোগ ছড়ায়। ভাইরাসের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন- নির্বাচনে ডিপফেকের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ, কমিশনের নির্দেশে এখনও অস্পষ্টতা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, 'মশারা আক্রান্ত পাখিদের রক্ত খেয়ে এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাস মশাদের রক্তে সঞ্চালিত হয়। ভাইরাসটি শেষ পর্যন্ত মশার লালা গ্রন্থিতে প্রবেশ করে। পরে রক্তর খাবার সময় (যখন মশা কামড়ায়), মশা- মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে ইনজেকশনের মত ভাইরাসটি ঢুকিয়ে দেয়। এভাবে এই রোগের বৃদ্ধি ঘটে। আর, লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।'
সংক্রমিত প্রসূতির থেকে এই ভাইরাস তাঁর শিশু সন্তানের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, 'পাখি-সহ সংক্রমিত প্রাণীদের খেলে এই রোগ ছড়ায় না।' সিডিসি জানিয়েছে, ডব্লুএনভি ভাইরাসের লক্ষণ সাধারণত ২ থেকে ৬ দিন পর বোঝা যায়। অনেক সময় তা ১৪ দিন পর গিয়ে ধরা পড়ে। আর, যেসব লোকের ইমিউনিটি কম, তাঁদের এই রোগ কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে।'