Advertisment

Explained: কে পাচ্ছেন গোল্ডেন বল-বুট, কীভাবে হচ্ছে বাছাই, জেনে নিন ফাইনালের আগেই

১৯৫৮ সালের সুইডেন বিশ্বকাপে ফন্টেইনে ১৩টি গোল করেছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Explained: কে পাচ্ছেন গোল্ডেন বল-বুট, কীভাবে হচ্ছে বাছাই, জেনে নিন ফাইনালের আগেই

চ্যাম্পিয়নদের দলগতভাবে জুলে রিমে ট্রফি ছাড়াও, রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলোয়াড়দের আলাদা পুরস্কার দেওয়া হবে। তাদের দল তৃতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে চায়। এই পরিস্থিতিতে ফাইনালে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি এবং ফরাসি পাওয়ার হাউস কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল্ডেন বুট এবং গোল্ডেন বলের জন্য লড়বেন। কী এই সব পুরস্কার? কে পাবেন সিদ্ধান্ত কীভাবে হবে? দেখে নিন।

Advertisment

গোল্ডেন বুট

গোল্ডেন বুট দেওয়া হয় সেই খেলোয়াড়কে, যিনি টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করেন। যদি একাধিক খেলোয়াড় সমসংখ্যক গোল করেন, তবে বিবেচ্য হয় অন্যকে গোল করতে সর্বাধিক কতবার সাহায্য করেছেন। কে কতক্ষণ খেলেছেন। তার মধ্যে যে সবচেয়ে কম সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করবেন, তিনিই গোল্ডেন বুট পাবেন। এবারের বিশ্বকাপে মেসি এবং এমবাপ্পে- দু'জনেরই গোলসংখ্যা ৫। তবে, সহযোগিতায় মেসি এগিয়ে। তিনি ফ্রেঞ্চম্যানের দুটো গোলে সহায়তা করেছিলেন। আবার, কম সময়ের বিচারে এগিয়ে এমবাপ্পে।

কারণ, মেসি খেলেছেন ৫৭০ মিনিট। আর, এমবাপ্পে খেলেছেন ৪৭৭ মিনিট। তালিকায় অবশ্য আরও দুটো নাম আছে। একজন আর্জেন্টিনার জুলিয়ান আলভারেজ। অপরজন ফ্রান্সের অলিভিয়ের জিরুদ। দু'জনেরই গোলসংখ্যা ৪। স্পেন বিশ্বকাপে ১৯৮২ সালে প্রথম গোল্ডেন বুট দেওয়া হয়েছিল। সেই ইতালির পাওলো রসি ছয় গোল করেছিলেন। তখন একে 'গোল্ডেন শু' বলা হত। ২০১০ থেকে এই পুরস্কারটি 'গোল্ডেন বুট' নামে দেওয়া হচ্ছে।

গোল্ডেন বুট চালু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি গোল করে এটি জিতেছেন ব্রাজিলের রোনাল্ডো। তিনি ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান বিশ্বকাপে ৮ গোল করেছিলেন। ফ্রান্সের জাস্ট ফন্টেইনের অবশ্য কোনও একটি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড আছে। ১৯৫৮ সালের সুইডেন বিশ্বকাপে ফন্টেইনে ১৩টি গোল করেছিলেন।

আরও পড়ুন- ‘চায়ে পে চর্চা’ নয়, মোদীর কাছে এবার ‘চায়না পে চর্চা’ চাইলেন খাড়গে

গোল্ডেন বল

টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়কে দেওয়া গোল্ডেন বল একটি বিষয়ভিত্তিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। ফিফার টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বাছাই করে। আর, বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়া সংস্থার প্রতিনিধিদের ভোটের ভিত্তিতে গোল্ডেন বলের বিজয়ী নির্বাচিত হন।

মেসি এবং এমবাপ্পে ছাড়াও, গোল্ডেন বল জেতার তালিকায় থাকা অন্য খেলোয়াড়রা হলেন ফ্রান্সকে এগিয়ে রাখার ইঞ্জিন অ্যান্তোইন গ্রিজম্যান। এছাড়াও তালিকায় আছেন ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ। যিনি তাঁর দল ২০১৮ সালের ফাইনালে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও এই পুরস্কার জিতেছিলেন।

গোল্ডেন বুটের মতো গোল্ডেন বলও চালু হয়েছিল ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে। রসি এটি জিতেছেন। আর, একটি বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট এবং গোল্ডেন বল উভয়ই জয়ী একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে স্থান পেয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। মেসি রসিকে অনুসরণ করছেন। আর, তাঁর দুটি গোল্ডেন বল জয়ের সম্ভাবনা আছে। কারণ, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে মেসি সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মজার ব্যাপার হল, শেষ ছয়টি বিশ্বকাপে, চ্যাম্পিয়ন দলের নয়, এমন একজন খেলোয়াড় জিতেছেন গোল্ডেন বল। রসি, মারাদোনা (১৯৮৬) এবং রোমারিও (১৯৯৪) একমাত্র তিন খেলোয়াড়। যাঁরা ট্রফি এবং গোল্ডেন বল দুটোই জিতেছেন। গোল্ডেন বল ছাড়াও বিশ্বকাপে

সিলভার বল এবং ব্রোঞ্জ বলও দেওয়া হয়। সেগুলো পান যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হওয়া খেলোয়াড়রা।

Read full story in English

Kylian Mbappe Lionel Messi Qatar World Cup 2022
Advertisment