সামনেই দীপাবলি। অনেকের কাছে যা দিওয়ালি। আলোর এই উৎসবে বাজি পোড়ানো ও ফাটানোর রেওয়াজ বহুদিনের। কিন্তু, তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই জাতীয় পরিবেশ আদালত দূষণমুক্ত বাজি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, বহু ক্রেতাই জানেন না কোনগুলো দূষণমুক্ত বাজি। বাজি কিনতে গিয়ে কোনগুলো দূষণমুক্ত, সেটাই বা কীভাবে বোঝা সম্ভব? সেটা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ড. রবীন্দ্র খাইওয়াল, ড. সুমন মোর ও হিনা রোহতকির মত দেশের প্রথমসারির পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
দূষণমুক্ত বাজি কী?
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, দূষণমুক্ত বাজি এবং আগে যে ধরনের বাজি ব্যবহার হত, সবগুলোই পরিবেশের দূষণ ঘটায়। তাই বাজি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে, পার্থক্য হল দূষণমুক্ত বাজিগুলো পুরোনো ধরনের বাজির চেয়ে ৩০ শতাংশ কম বায়ুদূষণ ঘটায়। কম ধুলো তৈরি করে। ধুলো শুষে নয়। আর এতে বেরিয়াম নাইট্রেটের মতো বিপজ্জনক উপাদান থাকে না। বিষাক্ত ধাতুর কম বিপজ্জনক যৌগ দূষণমুক্ত বাজিতে থাকে। আর, সেই কারণেই জাতীয় পরিবেশ আদালত শহর ও শহরতলির যেখানে বায়ুর গুণমান মাঝারি বা খারাপ, সেখানে দূষণমুক্ত বাজি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন: দাবির আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন পর্ষদ সভাপতির, রাজনৈতিক ইন্ধনের অভিযোগ
কোনগুলো দূষণমুক্ত বাজি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূষণমুক্ত বাজিগুলো তিনটি বিভাগে পড়ে- SWAS, SAFAL এবং STAR। যা বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল (CSIR) দ্বারা তৈরি। এর মধ্যে "SWAS বাতাসে জলীয় বাষ্প ছেড়ে ধূলিকণাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এতে পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং সালফার থাকে না। এতে বাজি পোড়ানোর ফলে তৈরি ধূলিকণা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়। STAR হল নিরাপদ থার্মাইট ক্র্যাকার। যাতে পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং সালফার থাকে না। কম ধূলিকণা তৈরি হয়। শব্দের তীব্রতাও কম। SAFAL হল নিরাপদ ন্যূনতম অ্যালুমিনিয়ামের বাজি। যাতে ন্যূনতম অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে। আর ব্যবহার হয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। এতে পুরোনো বা প্রচলিত বাজির চেয়ে শব্দ কম হয়।
দূষণমুক্ত বাজি চিনবেন কীভাবে?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সব দূষণমুক্ত বাজি CSIR NEERI লোগোর মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়। দূষণমুক্ত বাজি চিনতে প্লে স্টোর থেকে CSIR NEERI সবুজ QR কোড অ্যাপ ব্যবহার করে ক্রেতা গুগল স্ক্যানার ডাউনলোড করতে পারেন। সেটা করতে পারলে দূষণমুক্ত বাজি চেনার জন্য চোখ বুজে রাস্তার বিক্রেতা বা শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতাদের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
Read full story in English