Advertisment

Explained: কীভাবে ঘটেছিল দিল্লির আবগারি দুর্নীতি? কী অভিযোগ ইডির?

মোট ২৯২ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলেই তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sanjay Singh

আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং।

বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত আম আদমি পার্টির (আপ) রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিংকে পাঁচ দিনের (১০ অক্টোবর পর্যন্ত) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আপের অপর নেতা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১২ অক্টোবর। তার আগে, সুপ্রিম কোর্টের বেশ কিছু কঠির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ইডিকে। সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। আর, সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে বুধবার, ৪ অক্টোবর। ধৃত দুই নেতাকেই ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রণীত আবগারি নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে দুর্নীতি করেছেন।

Advertisment

দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি
২০২২ সালের জুলাইয়ে দিল্লির মুখ্যসচিব নরেশ কুমার লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) বিনাই কুমার সাক্সেনার কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিলেন। তা থেকে আবগারি দুর্নীতির অভিযোগগুলো উঠেছে। রিপোর্টে, নীতি প্রণয়নে পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা বলা হয়েছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আবগারি মন্ত্রী হিসাবে সিসোদিয়া 'স্বেচ্ছাচারী এবং একতরফা সিদ্ধান্ত' নিয়েছিলেন। তার ফলে দিল্লি সরকারের আনুমানিক ৫৮০ কোটি টাকারও বেশি 'আর্থিক ক্ষতি' হয়েছিল। রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে যে অ্যালকোহল ব্যবসার মালিক ও পরিচালকদের লাইসেন্স ফি ছাড়, করোনার কারণে জরিমানা মকুব করা হয়েছে। আবার, ত্রাণের জন্য অ্যালকোহল ব্যবসার মালিক ও অপারেটরদের থেকে অর্থ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের গোড়ার দিকে পঞ্জাব এবং গোয়ায় অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনকে 'প্রভাবিত' করার জন্য এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছিল। রিপোর্ট তদন্ত করে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় সিবিআইকে। এরপরই মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন- হামাসের প্রায় ৩,০০০ রকেট পরপর আছড়ে পড়ল, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি! যুদ্ধ ঘোষণা ইজরায়েলের

এই মামলায় ইডি কীভাবে জুড়ে গেল?
এই মামলায় মণীশ সিসোদিয়া এবং আপের কমিউনিকেশন ইনচার্জ বিজয় নায়ার-সহ আরও ১৪ জন অভিযুক্তকে তার এফআইআর-এ অভিযুক্ত করার পর, ইডি মার্চ মাসে আদালতকে বলেছিল যে অপরাধের অভিযুক্তদের আয়ের পরিমাণ ২৯২ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু, এটা যে একটা সুচারুভাবে রচিত অপরাধ, তার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন ছিল। ইডির অভিযোগ, এই 'কেলেঙ্কারি' হল পাইকারি মদের ব্যবসা ব্যক্তিগত সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তার জন্য ঘুষ নিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। এই নীতিতে 'ইচ্ছাকৃত ফাঁক রাখা হয়েছে' হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে ইডি।

Court Order Supreme Court of India cbi Manish Sisodia ED
Advertisment