গভীর সমুদ্রে খননের সম্মতি দিতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘ। অথচ, এখনও পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে খননের ব্যাপারে কোনও বিধি নেই। সেকথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকটি দেশ দাবি করেছে যে সমুদ্রের তলদেশে খনিজ দ্রব্যের সন্ধানে খনন শুরুর আগে কঠোর বিধি তৈরি দরকার। না-হলে, কোন সংস্থাগুলোকে খননে সম্মতি দেওয়া হবে, সেটা স্থির করাও কঠিন হয়ে যাবে রাষ্ট্রসংঘের কাছে।
রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ আন্তর্জাতিক সমুদ্রতট কর্তৃপক্ষ অবশ্য সমুদ্রের গভীরে খননের ব্যাপারে এখনও কোনও বক্তব্য জানায়নি। তার মধ্যেই দুই সপ্তাহ ধরে কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছে। তারপরই খননে সম্মতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কথা হয়েছে, জুলাই থেকে বিভিন্ন কোম্পানি এই খননের আবেদন জানাতে পারবে। এই সংক্রান্ত কোনও বিধি না-থাকায় গত ১০ বছর ধরে বিষয়টি ঝুলে ছিল।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সমুদ্রের গভীরে কোবাল্ট, তামা, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজের মত বিভিন্ন ধাতু নিষ্কাশনের জন্য খনন করা হবে। পলিমেটানিক নুডলস নামে আলু আকারের শিলাগুলো থেকেই কোবাল্ট, তামা, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজের মত ব্যাটারি সামগ্রী নিষ্কাশন করা হবে। এজন্য ৪ থেকে ৬ কিলোমিটার বা ২.৫ মাইল থেকে ৩.৭ মাইল পর্যন্ত সমুদ্রের গভীরে খননের অনুমতি দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রসংঘের সমুদ্র আইন সম্পর্কিত সম্মেলনের ভিত্তিতে জামাইকার সংস্থা আইএসএ তৈরি হয়েছে। সদস্য ১৬৭টি দেশের সমুদ্রের তলদেশের ওপর রাষ্ট্রসংঘের নিয়ন্ত্রণ আছে। তবে, প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের সমুদ্রে এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন আছে। সেই এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনগুলোর ওপর সংশ্লিষ্ট সদস্য দেশেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
আরও পড়ুন- তাঁর বিরুদ্ধে ‘সুপারি’ দেওয়া হয়েছে, মোদীর মন্তব্যে কেন শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন?
তবে, এখনও পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশের এই খনিগুলো সম্পর্কে কোনও বিধি তৈরি করেনি আন্তর্জাতিক সমুদ্রতট কর্তৃপক্ষ। বরং, এর পরিচালন পরিষদ খসড়া তৈরি করেছে। সেই খসড়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন সংস্থাকে ৯ জুলাই থেকে সমুদ্রের তলদেশে খনন করার অনুমতি দেওয়া হবে। এজন্য জুলাইয়ের আগে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করবে আন্তর্জাতিক সমুদ্রতট কর্তৃপক্ষ। সেই ভার্চুয়াল বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে জমা পড়া আবেদনকারীদের অনুমতি দেওয়া হবে? নাকি আবেদন বাতিল করা হবে।