আমেরিকা, কানাডা এবং ব্রিটেন শুক্রবার রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। জাপানে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময় এই ঘোষণা করা হল। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বিশ্বে ২০টিরও বেশি দেশে ২২ জন ব্যক্তি এবং ১০৪টি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নতুন জারি করা নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার সামরিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহের চেষ্টা রুখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া যে ফাঁকতালে সামরিক ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করছে, তা প্রতিরোধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে লিচেনস্টাইন-ভিত্তিক রাশিয়ান গোয়েন্দা পরিষেবা সংগ্রহের নেটওয়ার্ক, নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক প্রকিউরমেন্ট এজেন্টকে নিশানা করা ও মার্কিন-অনুমোদিত রেডিওভটোমাটিকা এলএলসির সঙ্গে যুক্ত একটি প্রকিউরমেন্ট নেটওয়ার্ক। পাশাপাশি ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া এবং পোল্যান্ডের কোম্পানিগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি-সহ রাশিয়াকে উন্নত উপকরণ, প্রযুক্তি এবং সামরিক ও শিল্প সরঞ্জাম অর্জনের নতুন উপায় খুঁজে বের করা থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিষেধাজ্ঞায় নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার ভবিষ্যৎ রফতানি এবং রাজস্ব শক্তি সীমিত করার লক্ষ্যে রুশ শক্তিক্ষেত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শক্তি-সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং খনন, খনির সরঞ্জাম তৈরির কোম্পানিগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রাশিয়ার আর্থিক পরিষেবা খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ। আর, রুশ ফেডারেশনের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থায় পরিষেবা দেওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভোজ্য তেলের দাম কমেছে, কীভাবে তাতে প্রভাব ফেলছে রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াই?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মধ্যে রাশিয়ার স্থাপত্য শিল্প, উৎপাদন এবং নির্মাণ শিল্পে নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে এই নিষেধাজ্ঞাকে আরও প্রসারিত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে আমেরিকানদের জন্য অথবা আমেরিকানদের দখল বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনও সম্পত্তি, যেখানে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ন্যাশনাল ওয়েলথ ফান্ড বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আগ্রহ রয়েছে, সেসব ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও রিপোর্ট দাখিল করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক রাশিয়ার বৃহত্তম সোনা উৎপাদনকারী সংস্থা পলিমেটালের ব্যবসা, ২০০ জন ব্যক্তি, সংস্থাটির জাহাজ এবং বিমান চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।