ভারতে স্কুল ব্যবস্থা একটি বড় পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিযুক্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি বছরে দু'বার বোর্ডের পরীক্ষার সুপারিশ করেছে। দ্বাদশ শ্রেণির জন্য একটি সেমিস্টার পদ্ধতি, শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিষয়গুলোর মিশ্রণের স্বাধীনতা। এরকম বহু সুপারিশই করা হয়েছে।
চূড়ান্ত হবে পড়ে
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল), শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুপারিশের ওপর জনগণের প্রতিক্রিয়ার জন্য স্কুল শিক্ষার জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামোর (এনসিএফ) প্রাক-খসড়া প্রকাশ করেছে। যা পুরোনো স্টিয়ারিং কমিটির সঙ্গে ইসরোর চেয়ারপার্সন কে কস্তুরিরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির আরেক দফা আলোচনার পরে চূড়ান্ত হবে।
এনসিএফ কী?
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের অধীনে ২০০৫ সালে এনসিএফ শেষবার সংশোধিত হয়েছিল। এটি হল একটি মূল নথি। যার ভিত্তিতে পাঠ্যপুস্তকগুলো প্রস্তুত করা হয়। তাই এনসিইআরটি পাঠ্যপুস্তকের বর্তমান সেট, যেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে সেগুলো ছাড়া বাকি সবই এনসিএফ ২০০৫-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। ২০০৫ সালের আগে, এনসিএফ তিনবার সংশোধিত হয়েছিল। যার মধ্যে একবার অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের জমানায় হয়েছিল।
বাকি কাজ
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলমান সর্বশেষ রাউন্ডের সংশোধনের পর, প্রাথমিক শিশুশিক্ষা এবং স্কুলশিক্ষার খসড়া কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এখন শিক্ষক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষার উপর কাজ চলছে। পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও, সিবিএসই এবং অন্যান্য রাজ্য বোর্ডগুলি গ্রহণ করার পরে এনসিএফ বিষয় পছন্দ, পাঠদানের ধরণ, মূল্যায়ন-সহ শ্রেণিকক্ষের বিভিন্ন দিক পুনর্গঠন করবে।
কারা সদস্য
১২ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে ফিল্ডস মেডেল প্রাপক মঞ্জুল ভার্গব, 'দ্য লস্ট রিভার: অন দ্য ট্রেইল অফ সরস্বতী' লেখক মিশেল ড্যানিনো, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার ও অন্ধ্রের সেন্ট্রাল ট্রাইবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য টিভি কাট্টিমনি।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য দূষণ পর্যবেক্ষণ, কেন মহাকাশে নতুন যন্ত্র পাঠাল নাসা?
মাধ্যমিক পর্যায়ে বিষয় এবং পরীক্ষার ছকে প্রস্তাবিত পরিবর্তন
স্কুলশিক্ষার খসড়ায় এনসিএফের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলোর মধ্যে নবম-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিষয় এবং পরীক্ষাকেন্দ্রিক সুপারিশ রয়েছে। দুই বছরের মধ্যে, নবম এবং দশম শ্রেণিতে, ছাত্রদের আটটি পাঠ্যক্রমিক বিষয়ের অধীনে ১৬টি কোর্স পড়তে হবে। প্রস্তাবিত পাঠ্যক্রমের বিষয়গুলো হল মানবিক (যাতে ভাষা অন্তর্ভুক্ত), গণিত এবং কম্পিউটিং, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান এবং আন্তঃ-শৃঙ্খলা ক্ষেত্র।