এলজিবিটিকিউ অধিকারের পক্ষে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। আর এই অধিকারের কথা বলতে গিয়ে তিনি এবার টেনে আনলেন মহাভারতের কথা। উদাহরণ দিলেন মহাভারতে উল্লিখিত মগধরাজ জরাসন্ধের দুই সেনাপতির। যাঁদের নাম হংস ও ডিম্বাক। এই দুটি নাম উল্লেখ করে ভাগবতের প্রশ্ন, কারা ছিলেন এই হংস ও ডিম্বাক? মহাভারতে খুব নামী কোনও চরিত্র ছিলেন না জরাসন্ধের এই দুই সেনাপতি। যার ফলে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, আসলে ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন সরসঙ্ঘচালক?
এরা কারা!
সেই ধোঁয়াশা নিজেই স্পষ্ট করেছেন আরএসএস প্রধান। আরএসএসের মুখপত্র অর্গানাইজার ও পাঞ্চজন্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাগবত বোঝাতে চেয়েছেন যে মহাভারতের মগধরাজ জরাসন্ধের ওই দুই সেনাপতি এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের ছিলেন। আর, ভারতীয় সভ্যতা ঐতিহ্যগতভাবে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে স্বীকার করে নিয়েছে। ভাগবতের ভাষায়, 'জরাসন্ধের দুই সেনাপতি ছিলেন হংস ও ডিম্বাক। তাঁদের মধ্যে খুব বন্ধুত্ব ছিল। কৃষ্ণ রটিয়ে দিলেন যে ডিম্বাক মারা গিয়েছেন। অমনি হংসও আত্মহত্যা করেন। এইভাবে মগধরাজের দুই সেনাপতির হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলেন কৃষ্ণ।'
ভাগবত কথা
ভাগবতের কথায়, 'এটা এমন নয় যে এই সব মানুষজন আমাদের দেশে কখনও ছিল না। যতদিন মানুষ আছে, ততদিন এই ধরনের মানুষও থাকবে। যেহেতু আমি পশুদের ডাক্তার, আমি জানি যে এই ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রাণীদের মধ্যেও পাওয়া যায়। এটি জৈবিক জীবনের একটি পদ্ধতি।' নয়াদিল্লির শ্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী জাতীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক জওহরলাল। তিনি জানিয়েছেন যে, 'হংস ও ডিম্বাকের কাহিনি মহাকাব্যের সভা পর্বের ১৪তম অধ্যায়ে, ৪০-৪৪ নম্বর শ্লোকে আছে।'
আরও পড়ুন- সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে চিন, উদ্বেগ বাড়িয়ে মেনে নিলেন সেনাপ্রধান
খোলসা করলেন অধ্যাপক
অধ্যাপক জওহরলাল বলেন, 'মহাভারতে রয়েছে যে ভগবান কৃষ্ণ পাণ্ডবপুত্র যুধিষ্ঠিরকে বলছেন যে জরাসন্ধকে পরাজিত করা খুব কঠিন ছিল। কারণ, তাঁর দুই সেনাপতি হংস ও ডিম্বাক। এই দু'জন দেবতাদের মতই শক্তিশালী ছিলেন। তাঁরা বর পেয়েছিলেন যে তাঁদের কোনও অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা যাবে না। প্রকৃতপক্ষে জরাসন্ধ, হংস ও ডিম্বাক একসঙ্গে তিনটি পৃথিবীর মুখোমুখি হওয়ার মত সাহস রাখতেন।'
Read full story in English