Advertisment

Explained: আফ্রিকা থেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আনা হল চিতা, বাঁচিয়ে রাখতে সমস্যা কী হচ্ছে?

ইতিমধ্যেই দুটি চিতার মৃত্যু হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cheetah deaths

ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা ১২টি চিতার মধ্যে একটি, রবিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে কুনো ন্যাশনাল পার্কে মারা গিয়েছে। ওই চিতাটি পুরুষ। বয়স ছয় বছর। নাম দেওয়া হয়েছিল উদয়। কয়েক দিন আগে, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সেই রাজ্যের বন বিভাগকে কুনো ন্যাশনাল পার্কের ওপর চাপ কমাতে দাগযুক্ত বিড়ালদের (চিতা) দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে গান্ধীসাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিশ্বের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় স্থানান্তরের মাধ্যমে আফ্রিকা থেকে ভারতে আনা ২০টি চিতার মধ্যে বর্তমানে মাত্র ১৮টি অবশিষ্ট আছে। উদয়ের আগে গত সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে আসা আটটি চিতার মধ্যে একটি পাঁচ বছর বয়সি চিতা (নাম সাশা) ২৭ মার্চ মারা গিয়েছিল।

Advertisment

আফ্রিকা থেকে চিতা নিয়ে আসার এই প্রকল্পে আগে থেকেই মৃত্যুর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বণ্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা। এই প্রকল্পের স্বল্পমেয়াদী সাফল্যের মাপকাঠি ছিল, 'প্রথম বছরে নিয়ে আসা চিতার অন্তত ৫০%-র বেঁচে থাকা।' সেই হিসেবে সংখ্যাটা ২০ থেকে ১০-এ নেমে আসার কথা ছিল। কিন্তু, প্রকল্পটি আরও চাপের মুখে পড়ে। কারণ, বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেছিলেন যে সরকার কুনোর চিতা বহন করার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেখিয়েছে। সেই অভিযোগ যে মিথ্যে নয়, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে কুনোর প্রকল্প কর্মীদের অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন।

আরও পড়ুন- কেশবানন্দ ভারতী মামলার অর্ধশতাব্দী, সংবিধান সংশোধন কীভাবে বারেবারে রুখেছে আদালত?

এই রিপোর্টের জেরে মধ্যপ্রদেশ সরকার গান্ধীসাগর- মন্দসৌর এবং নিমাচ জেলার চম্বল নদী উপত্যকায় চিতাদের বাসস্থান তৈরির জন্য একটি ছয় মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করে। রাজস্থানের মুকুন্দ্রা হিলস টাইগার রিজার্ভের ৮০ বর্গকিলোমিটার বেড়াযুক্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কুনো থেকে কয়েকটি প্রাণীকে সরিয়ে আনার ব্যাপারেও কথা হচ্ছে। সুতরাং, প্রকল্পের লক্ষ্য মূল জায়গা থেকে সরে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য ছিল, উন্মুক্ত জমিতে চিতার ঘোরাঘুরির ব্যবস্থা করে চিতার সংখ্যা বৃদ্ধি করা। ঘেরাটোপের মধ্যে কয়েকটি এলাকায় আফ্রিকা থেকে আমদানি করা চিতার সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

Death Shivraj Singh Chouhan Cheetah
Advertisment