Inflation data means for budget and monetary policy: ভারতের ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই/CPI) ভিত্তিক মূল্যস্ফীতির হার ডিসেম্বরে ৫.৭% স্পর্শ করেছে। যদিও প্রতিমাসে এর প্রকাশ বাধ্যতামূলক। কিন্তু, বর্তমানে এই প্রকাশ বিভিন্ন কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, রাজস্ব নীতির দিক থেকে এটা জরুরি। ১ ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় বাজেট উপস্থাপনের আগে এটাই মুদ্রাস্ফীতির শেষ তথ্য প্রকাশ। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রিজার্ভ ব্যাংকের পুনর্গঠনের আগে এটা হল মুদ্রানীতি কমিটির সাম্প্রতিকতম ডেটা। এটি রাজনৈতিক দিক থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
সিপিআই মুদ্রাস্ফীতি কী?
সিপিআই মূল্যস্ফীতি ভোক্তাদের মুদ্রাস্ফীতির হার ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি প্রধান মুদ্রাস্ফীতি সূচক থেকে আলাদা। যা হল, পাইকারি মূল্যসূচক-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির হার। পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের (MoSPI) মতে, ভোক্তা মূল্যসূচক পরিমাপ করে, 'সময়ের সঙ্গে নির্বাচিত পণ্য এবং পরিষেবাগুলো। এই পণ্য এবং পরিষেবাগুলো বিভিন্ন পরিবার ভোগের লক্ষ্যে ব্যবহার করে।' সর্বভারতীয় স্তরে, বর্তমানে এমন ২৯৯টি আইটেম আছে। একটি সামগ্রিক সূচকের পাশাপাশি, ভোক্তা মূল্য সূচকগুলো গ্রামীণ এবং শহুরে- উভয় গ্রাহকের কথা মাথায় রেখেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতি কীভাবে গণনা করা হয়?
সূচকগুলোর বর্তমান সিরিজের জন্য 'বেস ইয়ার' হল ২০১২। অন্য কথায়, মূল্য সূচককে ২০১২-এর জন্য ১০০ মান দেওয়া হয়। এই মূল্যস্তর থেকে প্রতিটি পণ্য বা পরিষেবার মুদ্রাস্ফীতির পরিবর্তনগুলো গণনা করা হয়। পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের (MoSPI) জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (NSO) অনুসারে, সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ১,১৮১টি গ্রাম এবং ১,১১৪টি শহুরে বাজার থেকে মাসিক মূল্যের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এনএসওর স্থানীয় কর্মীরা আবার সাপ্তাহিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন- মুইজ্জু ভারতকে ১৫ মার্চের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে বলেছেন, কেন ভারতীয় সৈন্যরা মালদ্বীপে?
কোন উপাদানের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়?
সিপিআই-এর ছয়টি প্রধান উপাদান রয়েছে। তার মধ্যে আবার রয়েছে অনেক উপ-উপাদান বা ভাগ আছে। এই উপাদানগুলো হল: 1> খাদ্য এবং পানীয়, 2> প্যান, তামাক এবং নেশাদ্রব্য, 3> পোশাক এবং পাদুকা, 4> হাউজিং, 5> জ্বালানি এবং আলো, 6> বিবিধ পরিষেবা যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি। এর মধ্যে, খাদ্য সামগ্রীর ওজন বর্তমানে মোট সূচকের ৫৪%। দ্বিতীয় বৃহত্তম উপাদান হল বিবিধ পরিষেবা। খাদ্য বিভাগের মধ্যে, খাদ্যশস্যের দাম ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ। মোট ভোক্ত মূল্য সূচকের (CPI)-এর ১২.৪%, তা নিয়ন্ত্রণ করে। এর মানে হল যে শস্য, শাকসবজি, দুধ এবং ডালের মত খাদ্যদ্রব্যের দামবৃদ্ধি ভোক্তা-মূল্যস্ফীতি বাড়াতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। আর, যে কারণে খাদ্য সামগ্রীগুলোকে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হল- বেশিরভাগ ভারতীয় ভোক্তারা তাদের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় করেন।