Advertisment

Explained: দুরন্ত গতিতে আসছে ঝড়, লন্ডভন্ড করে দিতে পারে সবকিছু, জারি চরম সতর্কবার্তা

ধেয়ে আসছে ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার গতিবেগে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Satellite view of Hinnamnor

চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়, সুপার টাইফুন (ঘূর্ণিঝড়) 'হিন্নামনর', পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে ওই ঘূর্ণিঝড় জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বীপগুলোর দিকে ধেয়ে আসছে ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার গতিবেগে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তার জেরে ওকিনাওয়া অঞ্চলে ইতিমধ্যেই বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা চলতি সপ্তাহে ওই অঞ্চলে বিমান চলাচল বাতিল ঘোষণা করেছে। 'হিন্নামনর' হল এই বছরের ১১তম গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়, যা টাইফুনে পরিণত হয়েছে৷

Advertisment

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত, হংকং আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সর্বোচ্চ বা পঞ্চম স্তরের এই ঘূর্ণিঝড় জাপানের ওকিনাওয়া উপকূল থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার দূরে ছিল। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে জাপান তো বটেই হংকং-এর বিভিন্ন অঞ্চলেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড় জাপান দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধীরে ধীরে এগোনোর সঙ্গেই আরও বেশি শক্তিশালী হবে।

সুপার টাইফুন 'হিন্নামনোর' কোথায় প্রভাব ফেলতে পারে?
জাপান আবহাওয়া দফতর (জেএমএ)-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই ঝড় দক্ষিণ-পশ্চিম জাপান, পূর্ব চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু অংশের দিকে অগ্রসর হবে। আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, যে এটি শুক্রবারের মধ্যে গতি হারাবে। তবে, ঘূর্ণিঝড়টি সপ্তাহ শেষে আবারও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে, জেএমএ এই ঘূর্ণিঝড়কে ‘হিংসাত্মক’-এ উন্নীত করেছে। জানিয়েছে, এই ঝড় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটাবে। আবহাওয়া দফতরের মতে, 'হিন্নামনর' শুক্রবার ওকিনাওয়ার দক্ষিণে ধীরে ধীরে অগ্রসর হবে। সেই সময় এর গতি তীব্র হবে। শনি এবং রবিবারের মধ্যে, এই ঝড় জাপানের সাকিশিমা দ্বীপপুঞ্জ এবং ওকিনাওয়ার প্রধান দ্বীপের কাছে পৌঁছে যাবে। সেই সময় বাতাসের গতি ব্যাপক থাকায় সমুদ্রের ঢেউ ১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে আছড়ে পড়তে পারে বলেই সতর্কবাণী শুনিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

জাপানের নিউজ আউটলেট এনএইচকে ওয়ার্ল্ড অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার হোক্কাইডোতে ১৫০ মিলিমিটার, তোহোকুতে ১২০ মিলিমিটার, টোকাইতে ১০০ মিলিমিটার এবং কানসাই অঞ্চলে ৮০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই টাইফুনের প্রভাব চিন এবং তাইওয়ানে তীব্রভাবে অনুভূত হবে বলেই আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা। যার জেরে, দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

টাইফুন বর্তমানে কেমন গতিতে চলছে?
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত, জেএমএ-এর সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, হিংসাত্মক টাইফুনটি মিয়াকোজিমা দ্বীপের দক্ষিণে ঘণ্টায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেগে চলছিল। ঝড়টি ওকিনাওয়ার দক্ষিণে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শক্তি ফিরে পাবে বলে আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওকিনাওয়াতে বাতাসের গতি বেড়েছে এবং সমুদ্র রুক্ষ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন- জিএসটি থেকে আয় বেড়েছে সরকারের, কেন এটা তাৎপর্যপূর্ণ, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি?

টাইফুন এত দ্রুত তীব্র হচ্ছে কেন?
তাইওয়ান নিউজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সুপার টাইফুনের দ্রুত তীব্রতা এবং দীর্ঘ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের অন্যতম কারণ হল, স্থানীয় আবহাওয়ার দ্বারা প্রভাবিত হওয়া। যার জেরে উষ্ণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় জল এবং অন্যান্য আবহাওয়া সংক্রান্ত ঝঞ্ঝাটও এই ঝড়কে তীব্র হতে সহায়তা করেছে।

আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা
জাপানের আবহাওয়া দফতর এই ঝড়ের জন্য বন্যা, ভারী বর্ষণ, ভূমিধস এবং সম্ভাব্য বজ্রপাতের ব্যাপারে সতর্ক করেছে। বিশেষ করে নিচু এলাকা ভেসে যেতে পারে বলে জানিয়েছে। একইসঙ্গে জাপানের আবহাওয়া দফতর টর্নেডো, নদীর জল ফুলে ওঠা এবং ব্যাপক ঝড়ের ব্যাপারেও সতর্ক করেছে।

Read full story in English

Japan cyclone island
Advertisment