Advertisment

Explained: তিনটি নতুন বিল নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা, এগুলো ফৌজদারি আইনের খোলনলচে বদলে দেবে?

উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Criminal Justice

বিলে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনটি নতুন বিল কি ভারতের ফৌজদারি আইনের সংশোধন?

এই বিলগুলি যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং তাদের প্রকৃত বিষয়বস্তু, তার মধ্যে একটি পার্থক্য রয়েছে। ভারতের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাকে সমস্যায় ফেলে এমন বিষয়গুলোর জন্য একটি ঢেলে সাজানো থেকে ব্যাপারটা অনেকটাই দূরে। এই তিনটি বিলের বড় অংশগুলো কেবল ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের বর্তমান বিধানগুলো পুনরায় তুলে ধরবে। এর অর্থ এই নয় যে কোনও পরিবর্তন নেই। তবে সেই পরিবর্তনগুলো ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার গভীর সংকটে আদৌ কোনও বাস্তব প্রভাব ফেলবে কি না, তা নির্ণয় করা কঠিন। পাশাপাশি, এই বিলগুলোতে প্রতিফলিত কিছু পরিবর্তন নিয়েও অনেক বিশেষজ্ঞ গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

Advertisment

বিলের বিষয়বস্তু নির্ধারণের জন্য কোন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে?

২০২০ সালের মে মাসে অতিমারি চলাকালীন জনসাধারণের পরামর্শ গ্রহণ এবং সুপারিশের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরামর্শের সেই প্রক্রিয়াটি বিলের গঠন, বিলের পদ্ধতি-সহ নানাক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত অনেক ছাপ রেখে গেছে। সীমিত দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ফৌজদারি আইন সংস্কারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রাপ্ত পরামর্শগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তা কাজে লাগানো লাগানো হয়েছে। আবার, অনেক পরামর্শে দেখা গেছে, বিশেষজ্ঞ কমিটি কোন পদ্ধতিতে কাজ করছে, তা না-জেনেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের কাছে কমিটির সুপারিশগুলো জনসাধারণকে জানানো হয়নি। কারণ, এটি আসলে কমিটির সুপারিশ। এই পরিস্থিতিতে কমিটির সুপারিশ আর, সংসদে পেশ করা বিলগুলোর বিষয়বস্তুর মধ্যে পার্থক্যও থাকতে পারে। সরকার এই বিলগুলির বিষয়বস্তু নির্ধারণের জন্য অন্যান্য কোনও পরামর্শ গ্রহণ করেছে কি না, তা-ও স্পষ্ট করেনি।

আরও পড়ুন- অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে কেরল বিধানসভায় প্রস্তাব, এনিয়ে রাজ্য আইন বানাতে পারে?

এই বিলগুলির মধ্যে কোন পরিবর্তনগুলো ভারতীয় ফৌজদারি আইনের কাঠামোকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে?

একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হল নতুন অপরাধের প্রবর্তন যা আইপিসি-তে অনুপস্থিত ছিল যেমন সার্বভৌমত্বকে বিপন্নকারী কাজ, সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসবাদের অপরাধ, গণপ্রহার, প্রতারণামূলক উপায়ে যৌন সংসর্গ/ বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। কিন্তু, যে পদ্ধতিতে অপরাধের খসড়া করা হয়েছে, তা অস্পষ্ট। তা যেমন ফৌজদারি আইনের বিধানের সমস্যাকে স্থায়ী করেছে, তেমনই নির্বিচারে গ্রেফতারের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এছাড়াও, এই ধরনের কিছু সংগঠিত অপরাধ এবং ইউএপিএ সংক্রান্ত বর্তমান আইন নকল করার কারণ হল, পরিণতি স্পষ্ট না-করেই অনুকরণ।

Criminal Procedure (Identification) Bill Parliament Law Ministry
Advertisment