Advertisment

Regulation on tourism: বছরে একলক্ষ পর্যটক অ্যান্টার্কটিকায়, কোচির বৈঠকে তোলপাড়, মৈত্রী-২ বানাচ্ছে ভারত

Antarctic tourism: ২০২৫ সালে ইতালিতে হতে চলেছে এটিসিএমের পরবর্তী বৈঠক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Antarctic Parliament, tourism, অ্যান্টার্কটিক পার্লামেন্ট, ট্যুরিজম

Antarctic Parliament-tourism: অ্যান্টার্কটিকা, মিষ্টি জলের ভাণ্ডার। (ছবি- এক্সপ্রেস)

What happened at this year’s Antarctic Parliament: অ্যান্টার্কটিকা ১৪ মিলিয়ন বর্গকিমি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ। অ্যান্টার্কটিকার প্রায় ৯৮% অঞ্চল পুরু বরফের চাদরে আচ্ছাদিত। যা পৃথিবীর প্রায় ৭৫% মিঠে জলের মজুদ ভাণ্ডার। গত মাসে, ভারতের কোচিতে ৪৬তম অ্যান্টার্কটিক ট্রিটি কনসালটেটিভ মিটিং (ATCM)-এর আয়োজন হয়েছিল। অ্যান্টার্কটিকায় অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন সম্পর্কে জোরালো উদ্বেগ প্রকাশ করে, ভারত প্রথমবারের মত একটি বৈঠক হল। যেখানে অ্যান্টার্কটিকায় পর্যটনের জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ চালু করা হল।

Advertisment

কোচি বৈঠকের হাইলাইটগুলো
চলতি বছরে অ্যান্টার্কটিক পার্লামেন্টের বা বৈঠকের মুখ্য বিষয়গুলো ছিল: একটি সুশাসন বজায় রাখা, পর্যটন কাঠামো গড়ে তোলা, আর মৈত্রী-২ গবেষণা কেন্দ্র তৈরি। ভারত প্রথমবার ২০০৭ সালে নয়াদিল্লি এটিসিএম (ATCM)-এ পর্যটনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। বেশিরভাগ ভ্রমণ, বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিগত ট্যুর অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে যে, অ্যান্টার্কটিকায় পর্যটকের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন জায়গার গবেষকরা সেখানে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র সাম্প্রতিক বছর (২০২৩)-এই অনুমান, একলক্ষ পর্যটক অ্যান্টার্কটিকায় গিয়েছিলেন।

কোচিতে গৃহীত প্রস্তাব
মেরু বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে অ্যান্টার্কটিকায় পর্যটনের প্রভাব এখনও পুরোপুরি বোঝা যায়নি। কোচিতে অ্যান্টার্কটিকা চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা পর্যটনের ব্যাপারে একটি কাঠামো থাকার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। কোচিতে এই ব্যাপারে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। যা অ্যান্টার্কটিকায় কার্যকলাপ এবং পরিবেশগত দায়বদ্ধতার দিকটি নিশ্চিত করবে।

ব্যাপারটা অত সহজ নয়
তবে, ব্যাপারটা অত সহজ নয়। কারণ, এরসঙ্গে আইনি ব্যাপার, দায়বদ্ধতা এবং অন্যান্য বিষয় যুক্ত। তাই আরও আলোচনা প্রয়োজন। ২০২৫ সালে ইতালিতে হতে চলেছে এটিসিএমের পরবর্তী বৈঠক। সেখানে পর্যটন কাঠামোর ওপর আরও আলোচনা হবে। একবার কাঠামোর ব্যাপারে ঐকমত্য হলেই, অ্যান্টার্কটিকায় পর্যটন পরিচালনা নিয়ে কঠোর নিয়মাবলি তৈরি হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন- ভারতে এবার চিতার দ্বিতীয় বাড়ি, পর্যটক টানতে তৈরি হচ্ছে সন্তর্পণে

মৈত্রী ২
অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের মৈত্রী গবেষণা কেন্দ্রের বয়স ৩৫ বছর। কোচির বৈঠকে ভারত সেই গবেষণা কেন্দ্রের পরবর্তী কেন্দ্র বা মৈত্রী-২ তৈরি করার ঘোষণা করেছে। সেই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা। এবার, কেন্দ্রীয় সরকার স্থাপত্য এবং পরিবেশগত পরিকল্পনা তৈরি করবে। পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গেলে, মৈত্রী-২-এর পরিবেশ রিপোর্ট পেশ করা হবে। পরিবেশ সুরক্ষা কমিটির কাছ থেকে ছাড়পত্র চাওয়া হবে। ভারত ২০৩০-এর দশকের গোড়ার দিকে মৈত্রী-২ চালু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

India tourism Antarctica expedition Tourist Spot Tourist
Advertisment