Chandigarh Mayor: মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আপ এবং কংগ্রেসের জোট প্রার্থী কুলদীপ কুমার। সুপ্রিম কোর্ট পুনরায় ভোটের বদলে পুনরায় গণনার পক্ষে রায় দিয়েছিল। ব্যালট পেপার এবং গণনার দিনের পুরো ভিডিও রেকর্ডিং পর্যবেক্ষণ করেছে আদালত। তারপরই ক্ষমতায় এলেন কুলদীপ কুমার। এর আগে ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে নির্বাচনী আধিকারিক অনিল মসিহ ও বিজেপি কাউন্সিলররা কারচুপি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছয়। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি দেখে ক্ষুব্ধ হয়। তারপরই রবিবার নবনির্বাচিত মেয়র বিজেপির মনোজ সোনকর পদত্যাগ করেন।
কেন এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ?
বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারই মধ্যে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি (আপ) জোট গড়ে প্রথম জয়লাভ করল চণ্ডীগড়ে। 'ইন্ডিয়া' জোটের লড়াই এই প্রথমবার হল। তার ফলে, এই নির্বাচন ছিল বিরোধীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যা লোকসভা নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজ্যে জোটের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলল।
কী ঘটেছিল?
গত ১৮ জানুয়ারির নির্ধারিত নির্বাচনের দিনে, যখন আপ এবং কংগ্রেস কাউন্সিলররা ভোটগ্রহণ স্থলে পৌঁছেছিলেন, তখন তাঁদের বলা হয়েছিল যে প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মসিহ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই ভোটদান স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসন তখন ভোট ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়েও দিতে চেয়েছিল। এরপরই, আম আদমি পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী কুলদীপ টিটা পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত ৩০ জানুয়ারি ভোট হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল।
দুর্নীতির অভিযোগ
ভোটে দেখা যায় বিজেপির মনোজ সোনকার ১৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন। আর, আপ এবং কংগ্রেস জোট পেয়েছে ১২টি ভোট। কারণ, নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মসিহ আটটি ভোট, অবৈধ বলে গণ্য করেন। বিরোধীদের অভিযোগ, মসিহ অন্যায়ভাবে ভোটগুলো বাতিল করেছেন। ব্যালট পেপারে তাঁর হস্তক্ষেপের ভিডিও নিয়ে বিরোধীরা প্রথমে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের বিরাট প্রস্তাব! তবুও ভেস্তে গেল এবারের বৈঠকও, নারাজ কৃষকরা, কারণটা কী?
অভিযোগের কারণ
নির্বাচন আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণ, বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল চণ্ডীগড় পুরসভা নির্বাচনে এই সংখ্যা কীভাবে দাঁড়াল? কারণ, পুরসভায় কংগ্রেসের সাত জন কাউন্সিলর। আপের ১৩ জন। এতে ৩৫ সদস্যের পুরসভায় জোটের সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ২০। বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১৫। তার কাউন্সিলর ১৩ জন। এছাড়াও চণ্ডীগড়ের সাংসদের ভোট এক্ষেত্রে গ্রাহ্য। তিনি পদাধিকারবলে চণ্ডীগড় পুরসভার সদস্য। চণ্ডীগড়ের সাংসদ হলেন বিজেপির কিরণ খের। এছাড়াও আছেন বিজেপির প্রাক্তন মিত্র অকালি দলের এক কাউন্সিলর। বিরোধী কাউন্সিলরদের কেউ দলত্যাগ না করায় চণ্ডীগড়ে বিরোধীদের মেয়র স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষমতায় থাকার কথা। চণ্ডীগড় পুরসভায় মেয়রের মেয়াদ একবছর। শহরের নির্বাচিত কাউন্সিলররা একবছর পরপর ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেন।