আবাগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় এজেন্সির 'অস্পষ্ট' সমনের কারণেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবাগারি মামলাতেই গত এপ্রিলে কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব সত্ত্বেও একজন ব্যক্তি কী হাজিরা দিতে অস্বীকার করতে পারে?
কোন আইনে কেজরিওয়ালকে ইডি তলব করেছিল?
ইডি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ), ২০০২ ধারার ৫০ উপধারার অধীনে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে তলব করেছিল। আইনের ৫০ উপধারা অনুসারে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেকোনও ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, বিবৃতি ও নথিপত্র জমা করতে বলতে পারে।
কেন কেজরিওয়ালকে সমন পাঠিয়েছে ইডি?
গত বছরের জানুয়ারিতে দিল্লির একটি আদালতে দায়ের করা প্রাথমিক অভিযোগে (যা চার্জশিটের মত) ইডি উল্লেখ করেছিল যে, কেজরিওয়াল আবগারি দুর্নীতি মামলায় একজন প্রধান অভিযুক্ত সমীর মহেন্দ্রুর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছেন এবং তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। এই মামলাতেই সহ-অভিযুক্ত বিজয় নায়ারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেজরিওয়াল আম আদমি পার্টির কমিউনিকেশন ইনচার্জকে 'আমার ছেলে' বলে উল্লেখ করেছেন। অভিযোগপত্রে ইডি মহেন্দ্রুর দ্বারা রেকর্ড করা বিবৃতি উল্লেখ করেছে, সেখানে মহেন্দ্রু বলেছিলেন, নায়ার তাঁকে বলেছিলেন যে ' দিল্লির নতুন আবগারি নীতি কেজরিওয়ালের মস্তিষ্কপ্রসূত।'
কেজরিওয়াল হাজিরা দিতে অস্বীকার করেছেন, ইডি এখন কী করবে?
কেজরিওয়াল ইডির সমনকে 'অস্পষ্ট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে দাবি করেছেন ও তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। ইডির সমন আইন অনুসারে পোক্ত নয় বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জিতে অবশ্য ইডি কর্ণপাত করবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনে ফের তাঁকে নোটিস ধরানো হবে বলেই জানা গিয়েছে। কেজরিওয়াল হাজিরা না দেওয়া পর্যন্ত এবাবেই তাঁকে নোটিস ধরানো হবে।
একাধিকবার তলবের পরও কেজরিওয়াল না গেলে?
সেক্ষেত্রে, ইডি দু'টি পদক্ষেপের যে কোনো একটি নিতে পারে- তারা সংশ্লিষ্ট আদালতে একটি আবেদন করতে পারে এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করতে পারে। অথবা কেন্দ্রীয় এজেন্সি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ইডির হাতে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতারও করতে পারে।