নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যোগব্যায়াম শিবির, একটি যোগ ইভেন্টে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জাতির লোকেদের অংশগ্রহণের কারণে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, ১৯৫৫ সালে তার সূচনাপর্ব থেকে, বিপুল সংখ্যক বিশ্ব রেকর্ডের তালিকা তৈরি করেছে। রেকর্ডের তালিকা যাচাইয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক উত্স হয়ে উঠেছে। এটি বিশ্বব্যাপী ৪০টি ভাষায় ১৫ কোটিরও বেশি বই বিক্রি করেছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কী?
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস- মূলত গিনেস বুক অফ রেকর্ডস নামে পরিচিত। এটি সব ধরণের রেকর্ড তৈরি, রেকর্ড ভাঙার নথি, রেকর্ড যাঁরা গড়েছেন তাঁদের কৃতিত্ব থেকে চরম প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার রেকর্ড, সবই এখানে তালিকাভুক্ত হয়। এই রেকর্ডের বইয়ের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৫ সালে ক্রিসমাসের সময়। সেই সময় এই বই ব্রিটেনে বেস্টসেলার তালিকার শীর্ষে ছিল। আজ, এই বইয়ে ৬২,২৫২টি রেকর্ড নথিবদ্ধ আছে। 'বিশ্বের সর্বোচ্চ বিল্ডিং' (বুর্জ খলিফা, দুবাই) থেকে 'সর্বকালের সবচেয়ে লম্বা নখ' (লি রেডমন্ড) পর্যন্ত সবকিছুই রয়েছে সংক্ষেপে জিডব্লিউআর নামে পরিচিত এই বইয়ে। আজ আর এটা বাৎসরিক প্রকাশিত কোনও বই নয়। এর গোটা বিশ্বে টিভি শো চলে। অনলাইনেও গিনেস বুক অফ রেকর্ডস রীতিমতো জনপ্রিয়। যাকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অনুসরণ করে।
আরও পড়ুন- মোদীকে বিরাট মার্কিন সম্মান! হোয়াইট হাউসে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের ব্যবস্থা, কী এর তাৎপর্য?
কীভাবে পথচলা শুরু হয়েছিল?
তবে এই গিনেস বুক অফ রেকর্ডস পাবগুলোয় তর্ক-বিতর্কের সমাধান করার জন্য একটি তথ্যের বই হিসেবে চলা শুরু করেছিল। ১৯৫০-এর দশকে, গিনেস ব্রুয়ারির ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্যার হিউ বিভার কাউন্টি ওয়েক্সফোর্ডের একটি হান্টিং পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে, তিনি এবং তাঁর হোস্টরা ইউরোপের দ্রুততম গেম বার্ড সম্পর্কে তর্ক করেছিলেন। কিন্তু, কোনও রেফারেন্স বইয়ে উত্তর খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন। মাতালদের এই ঝগড়ার কথা মাথায় রেখে স্যার হিউ, পাবের তর্ক-বিতর্ক মীমাংসার জন্য একটি বইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। ভাবনাটা সহজ ছিল- এমন একটা বই নিয়ে আসুন, যা এই বিতর্কিত তথ্যগুলোর জন্য নির্দিষ্ট উত্তর জানাতে পারবে। মাতালদের মতানৈক্য মীমাংসা করার ক্ষেত্রে এই বই যে কতটা বর হয়ে উঠবে, স্যার হিউ তা অনুভব করেছিলেন।