ভারতের শিক্ষানীতির পরিবর্তন কতটা হাল ফেরাবে শিক্ষাক্ষেত্রের তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষামহলেরই একাংশ। তবে এই নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি পড়ুয়াদের কতটা আশার আলো দেখাবে, কেমন হতে পারে ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ সেই বিষয়েই দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হয়ে কলম ধরলেন প্রতাপ ভানু মেহতা। তিনি বলেন, "সরকার যদি অন্য কিছু না করে এই নয়া সুপারিশগুলি স্কুল শিক্ষার উপর প্রয়োগ করে তবে ভারতের বিদ্যালয়গুলিতে শিশুদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে পড়ুয়াদের ভারতেই যেন রাখা যায় এই নয়া শিক্ষানীতির মাধ্যমে সেই ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।"
যদিও লেখকের ভয় একটি জায়গায়। নয়া শিক্ষানীতি পড়ুয়াদের মূল প্রসঙ্গ থেকে বেশি পাঠ্য প্রসঙ্গে নিয়ে আসছে। অতএব শিক্ষার্থীরা কতটা শিক্ষা পাবে সে বিষয়ে দ্বিমত রাখছেন লেখক। তিনি বলেন, "তবে আমাদের এ ধরণের বিভ্রান্তির মধ্যে থাকা উচিত নয়।" মেহতা বলেন, "ভারতের রাজনৈতিক অর্থনীতি মানবসম্পদ হিসেবে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসাবে গড়ে তুলেছে না। কয়েক দশক ধরে শিক্ষার জন্য আকাঙ্ক্ষা তৈরি হলেও তাকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে রূপান্তরিত করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে কি ভোল বদলাবে শিক্ষা ব্যবস্থার?
লেখক স্পষ্ট ভাষায় জানান, "এখন শিক্ষাব্যবস্থায় বিশ্বাসঘাতকদের একটা বড় অংশ ঢুকে গিয়েছে। তাঁদের যে একটা বড় অংশ রাজনীতি থেকে এসেছে তা নয়। শিক্ষাক্ষেত্র থেকেও এসেছে। আর এই নীতিতে সংশয় রয়েছে কারণ সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার বিষয়ে নথিতে জোর সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হয়েছে।
প্রতাপ ভানু মেহতা বলেন, "শিক্ষাক্ষেত্রকে আসতে আসতে রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে। একটা সময় সংস্কৃতি, রাজনীতি, পড়াশুনো সব মিলেমিশে থাকত। যেখানে সকলের কথা বলার অধিকার ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতিতে বদল এসেছে।" তিনি সাফ বলেন যে কোন কোন নীতি ইনস্টিটিউটগুলির চাপানো হচ্ছে তা অবশ্যই ভেবে দেখার বিষয়। এর আগে যে নীতি এনেছে সরকার তা আশাব্যঞ্জক ছিল না। তাই এই নীতি আদতেই শিক্ষাব্যবস্থার জন্য উপযুক্ত কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে যথেষ্ট।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন