চিনের ইউনান প্রদেশে হান্টাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সে দেশের ইংরেজি দৈনিক গ্লোবাল টাইমসে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সিডিসি জানিয়েছে, হান্টাভাইরাস নতুন নয়, ১৯৯৩ সালে এর প্রথম সংক্রমণ ঘটে। সংক্রমিত ইঁদুর বা খরগোশ জাতীয় প্রাণী থেকে মানবদেহে এ ভাইরাস ছড়ায়।
সিডিসি-র ব্যাখ্যা, হান্টাভাইরাস মূলত গ্রামীণ এলাকা, যেখানে বন বাদাড়, মাঠ ও খামার রয়েছে, সেখানেই মূলত দেখা যায়। এসব এলাকায় সংক্রমিত ইঁদুর-খরগোশের বাস।
হান্টাভাইরাস কী?
ইঁদুর, খরগোশ জাতীয় তীক্ষ্নদন্তী প্রাণীদের মাধ্যমে মূলত হান্টাভাইরাস ছড়ায়। এ ধরনের প্রাণীদের সংস্পর্শে যে সব মানুষ আসেন, তাঁদের এ রোগে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা বেশি।
আমেরিকায় সিন নোম্বরে হান্টাভাইরাস সংক্রমণের জন্য যেমন দায়ী ডিয়ার মাউস। এরকম ভাবেই বিভিন্ন হান্টাভাইরাস এই প্রজাতির বিভিন্ন প্রাণীর মাধ্যমে সংক্রমিত হয় মানবদেহে।
আমেরিকায় এই ভাইরাস প্রজাতি নিউ ওয়ার্লড হান্টাভাইরাস নামে পরিচিত। হান্টাভাইরাস ফুসফুসজনিত রোগ, যা প্রবল শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী। আমেরিকার ওই সংস্থা বলছে এ রোগ মারক হতে মারে এবং এ রোগে মৃত্যুহার ৩৮ শতাংশ।
মানুষ থেকে মানুষে এ রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে কিনা, তা একনও স্পষ্ট নয়। আমেরিকায় হান্টাভাইরাসের মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাস থাকবে, দীর্ঘদিন লকডাউন রাখা সমস্যা- বলছেন বিশেষজ্ঞ
চিলি ও আর্জেন্টিনায় অবশ্য এরকম ঘটনা, দুর্লভ হলেও ঘটেছে। সেখানে আন্দিজ ভাইরাস নামে পরিচিত হান্টাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্য মানুষে সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।
হান্টাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ কী?
সংক্রমিত পশুর টাটকা মূত্র, মল বা লালার সংস্পর্শে এলে তার এক থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা গিতে পারে।
উপসর্গের মধ্যে জ্বর, ক্লান্তি, পেশির ব্যথা, মাথাধরা, ঠান্ডার অনুভূতি, পেটের সমস্যা হতে পারে।