সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সে (আরপিএফ)-এর একজন কনস্টেবল মুম্বইগামী ১২৯৫৬ জয়পুর-মুম্বই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে চেপে চার জনকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত চেতন কুমারকে 'মীরা রোড' স্টেশনে গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) গ্রেফতার করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার অস্ত্র। নিহতদের মধ্যে একজন অভিযুক্তের সিনিয়র সহকর্মী, বাকি তিনজন ট্রেনযাত্রী। ট্রেনটির সকাল ৬টা ৫৫ নাগাদ মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনে পৌঁছনোর কথা ছিল। ঠিক তার আগে ঘটনাটি ঘটে সকাল ৫টা ২০ থেকে ৫টা ৩০-এর মধ্যে। সেই সময় ট্রেনটি ভাপি এবং পালঘর স্টেশনের মধ্যে ছিল।
রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) কী?
আরপিএফ হল কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের অপারেশনাল এবং প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সশস্ত্র বাহিনী। রেলের সম্পত্তি, যাত্রী এলাকা এবং যাত্রীদের নিজেদের সুরক্ষা ও সুরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বাহিনী। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স অ্যাক্ট, ১৯৫৭ অনুযায়ী আরপিএফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সংসদের তৈরি এই আইন 'রেল সম্পত্তির সুরক্ষা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলির জন্য কেন্দ্রের একটি সশস্ত্র বাহিনীর গঠন ও প্রয়োজনীয়তা' মিটিয়েছে। রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (সংশোধন) আইন, ১৯৮৫ (১৯৮৫ সালের ৬০ নম্বর আইন)-এর মাধ্যমে সংসদ এতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করার পরে আইনটি কার্যকর হয়। এই আইনের অধীনে বিধিগুলি ১৯৮৭ বিজ্ঞপ্তি দ্বারা প্রকাশিত হয়। আরপিএফের নেতৃত্বে রয়েছেন একজন ডিজি।
আরও পড়ুন- জন্মদিনে অওধের শেষ নবাবকে ফিরে দেখা
আরপিএফ কীভাবে এবং কী কারণে তৈরি হয়েছিল?
তার ওয়েবসাইটে আরপিএফ এই বাহিনী গঠনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেছে। সেই ওয়েবসাইট অনুযায়ী, আরপিএফের উৎপত্তি ঘটেছিল ব্রিটিশরাজের সময়। সেই সময় রেল সংস্থা ছিল বেসরকারি। যা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তৈরি হয়েছিল 'ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড'। সেই 'ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড'-এর পরিকাঠামোতেই তৈরি হয়েছিল আরপিএফ। এই সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, 'চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি, ওয়াচ এবং ওয়ার্ড কর্মীদের কাজ ছিল বেসরকারি রেল সংস্থার সম্পদ রক্ষা, চুরি নিয়ন্ত্রণ।' ১৯৫৪ সালে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কর্তার অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যা ওয়াচ এবং ওয়ার্ডকে একটি বিধিবদ্ধ সংস্থায় পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছিল।'