ইউক্রেনে হামলা এবং আমেরিকা-সহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বুধবার তাদের নতুন ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) সারমাত পরীক্ষা করল রাশিয়া। পরীক্ষার ফলাফলে বেজায় খুশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, 'এই পরীক্ষা রাশিয়ার শত্রুদের দু'বার ভাবতে বাধ্য করবে।' কী করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাশিয়ার শত্রুদের জন্যই বা নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠিক কতটা হুমকি হয়ে উঠতে পারে?
নতুন ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)-এর এটাই কি প্রথম পরীক্ষা?
২০২১ সালের গোড়াতেই ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তখন নানা কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। তারপর, এই প্রথম ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) সরমাত পরীক্ষা করল রাশিয়া। ২০২১-এর ডিসেম্বরের পরীক্ষাটা কেন পিছিয়ে দেওয়া হল, তা অবশ্য জানায়নি পুতিনের প্রশাসন। বুধবার, এটি উত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার প্লেসেটস্ক থেকে প্রায় ৬,০০০ কিলোমিটার দূরে কামচাটকা উপদ্বীপ লক্ষ্য করে পরীক্ষামূলক ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। রুশ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করার আগে আরও পাঁচ বার এই ক্ষেপণাস্ত্রর পরীক্ষা হবে। বুধবার নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগে দুটি ডামি ক্ষেপণাস্ত্রও পরীক্ষা করা হয়।
রাশিয়াই কি ক্ষেপণাস্ত্রটি বানিয়েছে?
এটা আগেই জানা গিয়েছিল যে রাশিয়া তার ক্ষেপণাস্ত্রর বদলে নতুন আইসিবিএম তৈরি করতে চলেছে। ২০১৮ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজে জাতীয় আইনসভায় তাঁর ভাষণে একথা জানিয়েছিলেন। তখনই পুতিন জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের শেষেই নতুন নতুন আইসিবিএম রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যুক্ত হবে। তবে, পুতিনেরও ঘোষণার আগে ২০১৬ সালে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি বাজারে ছড়িয়ে পড়েছিল। রটেছিল, ওই নতুন আইসিবিএম রাশিয়া তৈরি করছে। তবে বিভিন্ন মহলের দাবি, আরও অনেক আগে থেকেই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি হচ্ছিল। আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যই দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল মস্কো।
কোন ব্যাপারে সারমাত অন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর চেয়ে এগিয়ে?
পুরো নাম আরএস-২৮ সারমাত। ১১ থেকে ১৮ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। যা ইউরোপীয় শক্তিশালী দেশগুলো তো বটেই এবং আমেরিকার অস্ত্রের সঙ্গেও রীতিমতো পাল্লা দিতে সক্ষম।
Read story in English