Advertisment

জ্ঞানবাপী মসজিদ: ৯১-এর মামলা হঠাৎ নতুন করে জেগে উঠল কেন?

এলাহাবাদ হাইকোর্ট পাঁচটি পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Gyanvapi mosque case

বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ। (এক্সপ্রেস ছবি)

এলাহাবাদ হাইকোর্ট মঙ্গলবার ইউপি সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির পাঁচটি পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে বারাণসী মসজিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আর উপাসনা স্থান আইনের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। মামলাটি এখন বারাণসী সিভিল জজের আদালতে শুনানি হবে। হাইকোর্ট এই মামলায় বারাণসী সিভিল জজ কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে, মামলাটি 'দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর, মামলার প্রক্রিয়াও দ্রুত শেষ করতে হবে।' এই ব্যাপারে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে আদালত। জানিয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে ওই মামলা।

Advertisment

বিভিন্ন মামলা

জ্ঞানবাপী মসজিদ কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে। ওয়াকফ বোর্ড এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির মূল মামলা- স্বয়ম্ভু ভগবান বিশ্বেশ্বরের প্রাচীন মূর্তি সংক্রান্ত। যে মামলায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ এবং অন্য একটি মামলার পার্টি, ৯১ সালে দায়ের করা রক্ষণাবেক্ষণের আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। বলেছিল যে ওই আবেদন পূজার স্থান আইনের কারণেই গ্রহণযোগ্য নয়। ৯১-এর মামলাটি রাখি সিং এবং অন্যদের দায়ের করা মামলা থেকে আলাদা। রাখি সিংদের মামলায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ সোমবার বারাণসী জেলা আদালতে ১,৫০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

উপাসনার স্থান আইন, ১৯৯১ কী?

উপাসনা স্থান আইনে বলা হয়েছে যে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টে থাকা যে কোনও উপাসনালয়ের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে হবে। এই আইনের ধারা ৩ অনুযায়ী, কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপাসনাকেন্দ্র বা স্থানকে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ভিন্নধর্মীয় উপাসনালয়ে রূপান্তরিত করা যাবে না। এমনকী, একই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একটি ভিন্ন অংশের উপাসনাস্থলেও বদলানো যাবে না।

আরও পড়ুন- শাহরুখের ‘ডাঙ্কি’, কী আছে এই সিনেমায়, কী জানিয়েছেন কিং খান?

মুসলিম পক্ষের বক্তব্য কী?

মসজিদ কমিটি এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা বলেছেন যে আবেদনকারীদের, 'মন্দিরে প্রার্থনা করার অধিকার আছে। মন্দিরের অভ্যন্তরে ধর্মীয় আচার পালন করতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়নি বা কেউ বাধা দেয়নি।' প্রবীণ আইনজীবী এসএফএ নকভি আদালতে বলেন, 'উপাসনা স্থান আইন, ১৯৯১ উপাসনালয়ের ব্যাপারে বিতর্ক এড়াতেই তৈরি হয়েছে। এই আইন সাংবিধানিক ব্যবস্থার অধীনে সংসদে তৈরি হয়েছিল। যা, ভারতের সর্বত্র প্রযোজ্য।' নকভি আদালতকে বলেন, 'যেহেতু মসজিদটি প্লট নং ৯১৩০-এ আছে এবং ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে মুসলমানরা জায়গাটিকে নমাজ পড়ার জন্য ব্যবহার করছেন, এর ধর্মীয় চরিত্র পরিবর্তন করা যাবে না। একে মন্দিরে রূপান্তর করা যাবে না। তেমনটা করা হলে, তা হবে ১৯৯১ সালের আইনের ধারা ৪-এর বিরোধী।'

Allahabad HC Kashi Vishwanath Dham gyanvapi mosque
Advertisment