শুক্রবারই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগে এই অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে অবশ্য ওই আবগারি নীতি প্রত্যাহার করেছে দিল্লি সরকার। গত ৮ জুলাই দিল্লির মুখ্যসচিব নরেশ কুমার লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনাইকুমার সাক্সেনার কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেন। সেই রিপোর্টে মুখ্যসচিব অভিযোগ করেন যে কমিশন এবং আর্থিক সাহায্যের বিনিময়ে মদ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কমিশন এবং সহযোগিতার ওই অর্থ গত পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহার করেছিল আম আদমি পার্টি।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর সাক্সেনা সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের সুপারিশের পর, ৩০ জুলাই সিসোদিয়া জানান যে ১ আগস্ট থেকে মদের নতুন নীতি বাতিল করা হবে। দিল্লিতে শুধুমাত্র সরকারি মালিকানাধীন মদের দোকানগুলোকেই অ্যালকোহল বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে। সিবিআই যখন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সুপারিশ মেনে চলছে, সেই সময় দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধদমন শাখাও (ইওডব্লিউ) নতুন মদ নীতিতে বেনিয়মের অভিযোগে দিল্লি সরকারের আবগারি দফতরের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে।
কী বলছে সিবিআই?
সিবিআই ইতিমধ্যেই বাতিল হওয়া দিল্লি আবগারি নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত এফআইআরে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করেছে। এই তালিকার শীর্ষে আছেন সিসোদিয়া। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কার্যালয়ের জারি করা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এফআইআর অনুযায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া, দিল্লির প্রাক্তন আবগারি কমিশনার আরাভা গোপীকৃষ্ণ এবং আরও দুই ঊর্ধ্বতন আবগারি আধিকারিক টেন্ডারের পর যোগ্যদের টেন্ডার না-দিয়ে সুবিধার বিনিময়ে হস্তক্ষেপ করেছে।
আরও পড়ুন- সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই হানা, ভোটের ময়দানেই বিজেপিকে জবাব, সোজাসাপটা ঘোষণা কেজরির
এফআইআর অনুযায়ী এটি অনলি মাচ লাউডার বিনোদন ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রাক্তন সিইও বিজয় নায়ার, ওয়াইন এবং স্পিরিট জায়ান্ট পার্নোড রিকার্ডের প্রাক্তন আধিকারিক মনোজ রাই, ব্রিন্ডকো স্পিরিটসের মালিক আমনদীপ ঢাল এবং ইন্দোস্পিরিট-এর মালিক সমীর মহেন্দ্রু দিল্লির আপ সরকারের নতুন আবগারি নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অনিয়মের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন বলেই অভিযোগ করা হয়েছে এফআইআরে। এফআইআর অনুযায়ী, লাইসেন্স পাওয়া কিছু সংস্থা সরকারি কর্মচারীদেরকে দেওয়া আর্থিক সুবিধা লুকোতে তাদের নথিতে কারচুপি করেছে। খুচরো বিক্রেতাদের ধারে পণ্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
Read full story in English