আবগারি নীতি সংশোধন করেছে দিল্লি সরকার। গত ২ মে সংশোধিত নীতি মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত হয়। সেই নীতিতে মদের হোম ডেলিভারি, ভোর তিনটে পর্যন্ত মদের দোকান খোলা রাখা, লাইসেন্সধারী মদ বিক্রেতাদের সীমাহীন ছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া শনিবার, ৩০ জুলাই নতুন মদ নীতি সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ১ আগস্ট থেকে শুধুমাত্র সরকারি মালিকানাধীন মদের দোকান থেকেই মদ বিক্রি করা যাবে।
দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধদমন শাখা (ইওডব্লিউ), নতুন মদ নীতিতে অনিয়মের কারণে দিল্লি সরকারের আবগারি বিভাগের বিরুদ্ধে তদন্ত নামে। তার পরই মদ নীতি তড়িঘড়ি বদলাল দিল্লি সরকার। গত সপ্তাহে, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) বিনাই কুমার সাক্সেনাও এই নীতির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি দিল্লির মুখ্য সচিবকে নতুন মদ নীতির 'অবৈধ প্রণয়ন, সংশোধনী এবং বাস্তবায়নে অফিসার এবং সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা' নিয়ে বিশদ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘আমার কোনও টাকা নেই, ষড়যন্ত্র কার সময় এলেই বুঝবেন’, ফের বিস্ফোরক পার্থ
দিল্লি পুলিশের আর্থিক EOW কীভাবে এই ঘটনায় জড়াল?
নতুন নীতি বাস্তবায়নের আগে, প্রথমে দিল্লির মুখ্যসচিব (সিএস), নরেশ কুমারকে পরীক্ষা করতে হয়েছিল। তিনি চলতি বছরের এপ্রিলেই নিযুক্ত হয়েছেন। আবগারি বিভাগের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পরে, মুখ্যসচিব দিল্লি আবগারি নীতি ২০২১-২২-এ 'প্রক্রিয়াগত ত্রুটি' এবং অনিয়ম খুঁজে পেয়েছিলেন। ৮ জুলাই, তিনি আবগারি বিভাগের প্রধান মণীশ সিসোদিয়ার কাছে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন এবং এই ত্রুটির উত্তর চেয়েছিলেন। রিপোর্টটি একই দিনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও এলজি বিনাই কুমার সাক্সেনার কাছেও পাঠানো হয়েছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব নতুন নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পরে, দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধদমন শাখাকে জানিয়েছিলেন। তিনি এই মদ ব্যবসায় হওয়া অবৈধতা, কার্টেলাইজেশন এবং একচেটিয়া কারবার সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। আর, সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে আর্থিক অপরাধদমন শাখা (ইওডব্লিউ) পরবর্তীতে এই মাসের ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে আবগারি বিভাগের বৈঠকগুলোর ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) সংগ্রহ করেছিল। সেই সংগ্রহের কাজ ১২ জুলাই ভোর ৫টা পর্যন্ত চলেছিল।
Read full story in English