কংগ্রেস পার্টির সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সিদ্দারমিয়াকে কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। যে প্রতিযোগিতাটি গত কয়েকদিন ধরে মূলত সিদ্দারামাইয়া ও ডিকে শিবকুমারের মধ্যে চলছিল, এতে তার অবসান ঘটেছে। শনিবার (২০ মে) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শিবকুমারকে উপমুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় রাজনীতির একটি বড় বৈশিষ্ট্য, উপমুখ্যমন্ত্রী পদটি কেবলমাত্র জোট সরকারেই থাকে। অথবা, দলে একাধিক শক্তিশালী নেতার বিভাজন থেকে দলের ক্ষতি হওয়া ঠেকাতে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের ব্যবহার করা হয়। যেমন, এবার কর্ণাটক হল।
উপমুখ্যমন্ত্রী পদ
সংবিধানের ১৬৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী পদটি মন্ত্রী পরিষদে নিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত। মুখ্য থেকে উপমুখ্য কিংবা যে কোনও মন্ত্রীকে সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপাল নিয়োগ করেন। রাজ্যপালের ইচ্ছাতেই পদে অধিষ্ঠিত হন। তবে, সংবিধানে উপমুখ্যমন্ত্রী বলে কোনও পদের উল্লেখ নেই। এই পদটি কেবলমাত্র একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদার। উপমুখ্যমন্ত্রীরা মন্ত্রিপরিষদের একজন মন্ত্রীর সমান বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা পান।
উপপ্রধানমন্ত্রী পদ
একই বিষয় উপপ্রধানমন্ত্রী পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। দেশের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহরু মন্ত্রিসভার সদস্য সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। নেহরু ও প্যাটেলের মধ্যে চিন্তাধারার দূরত্ব ছিল। তাঁদের এই দূরত্ব যাতে কংগ্রেসে প্রভাব না-ফেলে, সেকথা মাথায় রেখেই প্যাটেলকে উপপ্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল। আবার কেন্দ্রের জোট সরকারে ১৯৮৯ সালে হরিয়ানার হেভিওয়েট নেতা দেবীলাল চৌধুরীকে করা হয়েছিল উপপ্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ভিপি সিং। তার মধ্যে দেবীলালের নিয়োগকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। কারণ, তিনি শপথবাক্যে উপপ্রধানমন্ত্রী কথাটির উল্লেখ করেছিলেন।
আরও পড়ুন- কেন রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভবন উদ্বোধন করতে দেওয়া হচ্ছে না? ক্ষোভ বিরোধীদের
কে এম শর্মা বনাম দেবী লাল এবং অন্যান্য মামলায় (১৯৯০ সাল), সুপ্রিম কোর্ট দেবী লালের নিয়োগকে বহাল রেখেছিল। শীর্ষ আদালত বলেছিল যে, 'বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন যে উপপ্রধানমন্ত্রী হলেন মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের মতই একজন মন্ত্রী। মন্ত্রী পরিষদ যদিও তাকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে বর্ণনা করে থাকে, তবে তাঁর ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর মত নয়।'