অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন 'কঠোর পরিশ্রমী' মধ্যবিত্তদের সুবিধার্থে ব্যক্তিগত আয়কর নিয়ে পাঁচটি বড় ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে নতুন ব্যবস্থায় যাঁরা কর দিতে অক্ষম হবেন, তাঁদের জন্য পুরোনো ব্যবস্থায় করদানের সুযোগ থাকবে। সীতারামন নতুন কর ব্যবস্থায় ছাড়ের সীমা ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন। অতএব, যদি একজন ব্যক্তি নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নেন, তাহলে তাঁকে বার্ষিক ৭ লক্ষ টাকা আয় পর্যন্ত কোনও কর দিতে হবে না। তিনি নতুন কর ব্যবস্থায় করের ধাপগুলোতেও পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন।
Advertisment
নতুন ব্যবস্থার অধীনে আয়করের ধাপগুলো হল ০-৩ লক্ষ টাকা- করমুক্ত ৩-৬ লক্ষ টাকা- ৫% ৬-৯ লক্ষ টাকা- ১০% ৯-১২ লক্ষ টাকা- ১৫% ১২-১৫ লক্ষ টাকা- ২০% ১৫ লক্ষ টাকার বেশি: ৩০%
কর ব্যবস্থাকে এভাবে ঢেলে সাজানোর কারণ হল, নতুন কর ব্যবস্থায় জনগণকে উৎসাহিত করা। এর আগের করকাঠামো ২০২১ সালে পরিবর্তিত হয়েছিল। তারপর থেকে করকাঠামোয় বিশেষ অদলবদল ঘটেনি।
Advertisment
নতুন কর ব্যবস্থা কী? ব্যক্তিগত কর কম করার ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০ সাল থেকে চালু করেছে। ১১৫বিএসির ধারা অনুযায়ী বিকল্প করকাঠামো হিসেবে এই ব্যবস্থা চালু করেছে। এর শর্ত হিসেবে কোথাও বিনিয়োগ করতে হবে, সেই ব্যবস্থাও সরকার রাখেনি। এটা সেই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে উপযোগী প্রমাণিত হচ্ছে, যাঁরা বিনিয়োগ করতে নারাজ। নতুন কর কাঠামোয় আগের চেয়ে বেশি ধাপ রয়েছে। এতগুলো করের ধাপ এই প্রথম। তাই অনেকের কাছে এটা জটিলও মনে হচ্ছে।
জানুয়ারির শুরুতে, সীতারামন অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি গৌতম চিকারমানের লেখা 'রিফর্ম নেশন' বইয়ে জানিয়েছিলেন যে নতুন এবং স্বেচ্ছায় আয়কর ব্যবস্থা আগের চেয়ে জটিল। কারণ, আগের কর কাঠামোয় মাত্র তিনটি ধাপ ছিল। ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, 'যদি সত্যিই সরলতার লাভ হয়ে থাকে (পুরানো আয়কর কাঠামোয়), আমি নিশ্চিত করতে চাই যে সেগুলো বদলানো হয়নি। লোকেরা পুরোনো কাঠামোয় আয়কর রিটার্ন দাখিল করছে। তাই, সরলতার লাভ এখনও আছে।'