Explained: মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে চারিদিকে ব্যাপক নাচানাচি! কিন্তু, বাস্তবটা কী বলছে?
সংসদে উত্থাপিত বিলটি একটি প্রতিশ্রুতি মাত্র। এর পরিপূর্ণতা অবশ্যই প্রয়োগের ওপর নির্ভর করবে। আদমশুমারির পর এই বিলের প্রয়োগ হবে। বিলে সংরক্ষিত আসন কীভাবে বাছাই করা হবে, তার বিবরণ নেই।
কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার লোকসভা এবং বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের জন্য সংবিধানের (১২৮তম সংশোধনী) বিল, ২০২৩ এনেছে। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত। ২০১০ সালের মার্চে রাজ্যসভা সংবিধানের (১০৮তম সংশোধনী) বিল, ২০০৮ পাশ করেছিল। কিন্তু, সেই বিলটি লোকসভায় পাস হয়নি। মঙ্গলবার উত্থাপিত বিলটি সংসদের উভয়কক্ষে দ্রুত পাস হলেও, এটি কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে।
Advertisment
বিলে বলা আছে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, লোকসভায় পেশ করা বিলে ঠিক কী বলা আছে? অথবা, কী কী ভাবে এটি ১৩ বছর আগে রাজ্যসভায় পাস করা বিলের মত অথবা আলাদা? সংবিধানের ১২৮তম সংশোধনী বিল, ২০২৩ অনুসারে, 'প্রায় যতটা সম্ভব, পূরণ করা মোট আসনের এক-তৃতীয়াংশ তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন-সহ জনগণের সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বিলটি বিভিন্ন রাজ্য এবং দিল্লি বিধানসভার জন্যও একই আইনের প্রস্তাব করেছে।
বিলের বাস্তবায়ন আগের বিলের মতই, ১২৮তম সংবিধান সংশোধনী বিল, ২০২৩-ও সংবিধানে নতুন অনুচ্ছেদ- ৩৩০এ এবং ৩৩২এ লাগু করার প্রস্তাব দিয়েছে। এই নতুন বিধানগুলি যথাক্রমে লোকসভা ও বিধানসভাগুলোর জন্য পরিবর্তন আনবে। ২০১০ সালের বিলের মতই বর্তমান বিলটিতেও একটি সীমা উল্লেখ আছে। যেখানে বলা হয়েছে, আইনটি শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক থাকবে। তার পরে সংসদ চাইলে সংরক্ষণের সীমা বাড়াতে পারে। এখন প্রশ্ন হল, বিলটি কত তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত হবে? বিলটি সংসদের উভয় কক্ষে চলতি বিশেষ অধিবেশনেই দ্রুত পাস হবে বলে আশা করা যায়!
বিল নিয়ে আশঙ্কা বিলটিতে বলা হয়েছে, বিলটি আইন হওয়ার পরে প্রথম আদমশুমারির প্রাসঙ্গিক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তা কার্যকর হবে এবং যা ন্যূনতম ১৫ বছর পর্যন্ত বাধ্যতামূলক থাকবে। যার অর্থ হল, ২০২৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এই বিলের দৌলতে লোকসভায় মহিলাদের সংরক্ষণ কার্যকর না-ও হতে পারে! কারণ, আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে আদমশুমারির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।