পলাতক পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়েছেন বলেই অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাকিস্তান সরকারকে যেসব উপহার দেওয়া হয়েছে, তার তথ্য তিনি প্রকাশ করেননি। সেই সব উপহার বিক্রি করে যে অর্থ মিলেছে, সেই তথ্যও ইমরান প্রকাশ করেননি বলেও অভিযোগ। ২০২২-এর অক্টোবরে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন, তোষাখানা মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। আর, পাঁচ বছরের জন্য তিনি কোনও সরকারি দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না, বলেই জানিয়েছিল। এরপর, দিন দুয়েক আগে পাকিস্তানের এক নিম্ন আদালত তোষাখানা মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
আদালতের সেই নির্দেশমতো লাহোর পুলিশ পৌঁছে যায় ইমরানের বাড়িতে। ৫ মার্চ, রবিবার পুলিশ ইমরানের লাহোরের বাড়ি ঘুরে আসার পর জানায়, সেখানে ইমরান নেই। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, পুলিশ এই কথা বললেও বছর ৭০-এর ইমরান তাঁর দলের সদস্য ও সমর্থকদের প্রতি বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তা দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান তাঁর অনুগামীদেরকে বার্তায় বলেছেন, 'কখনও কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে মাথানত করিনি। ভবিষ্যতেও করব না।' ডন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ইসলামাবাদ পুলিশ বিষয়টি নিয়ে একগুচ্ছ টুইট করেছে। সেই সব টুইটে জানিয়েছে, 'পুলিশ সুপার নিজে ইমরানের ঘরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি ঘরে ছিলেন না।' পাশাপাশি পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবরকমভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। ইমরানকে গ্রেফতার না-করে ছাড়বে না।
আরও পড়ুন- বুধবার ভারতে আসবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মোদীর সঙ্গে দেখবেন ক্রিকেট ম্যাচও
এই ব্যাপারে ইসলামাবাদ পুলিশের আইজি আকবর নাসির ডন নিউজ টিভিকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে আমরা ইমরানকে আদালতের নির্দেশের কথা জানিয়েছিলাম। তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম ইমরানকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করতে।' শেষ পর্যন্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী এই মামলায় স্বশরীরে হাজিরা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু, আদালতে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, ইমরানের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।