ভারতের ২২তম আইন কমিশন বুধবার (১৪ জুন) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) ইস্যুতে ধর্মীয় সংগঠন এবং জনসাধারণের মতামত চেয়েছে। কমিশনের সভাপতিত্ব করছেন কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কেটি শংকরন, অধ্যাপক আনন্দ পালিওয়াল, অধ্যাপক ডিপি ভার্মা, অধ্যাপক রাকা আর্য এবং এম করুণানিথি-এর সদস্য। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যারা আগ্রহী এবং ইচ্ছুক তারা ৩০ দিন বা একমাসের মধ্যে মতামত জানাতে পারবেন।
কেন্দ্র যা জানিয়েছিল
আট মাস আগে সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র বলেছিল যে সংবিধান রাজ্যকে তার নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে বাধ্য করছে। কারণ, সংবিধান বলেছে যে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের লোকজন যদি সম্পত্তি এবং বৈবাহিক ক্ষেত্রে আলাদা আইন অনুসরণ করে, তবে তা 'জাতির ঐক্যের ক্ষেত্রে অবমাননা'র শামিল। বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ এবং অভিভাবকত্ব ইস্যুতে আইনি অভিন্নতা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র, ২০২২ সালের অক্টোবরে জানিয়েছিল, সংবিধান অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে বাধ্য করছে। সেই কারণেই বিষয়টি ২২তম আইন কমিশনের সামনে রাখা হবে।
বিরোধীরা কেন এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে?
কংগ্রেস কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলেছে যে ২১তম আইন কমিশন বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থাকা এই পর্যায়ে প্রয়োজনীয় বা কাম্য নয়। কংগ্রেস ২২তম আইন কমিশনকে বলেছে যে একথা মনে রাখতে হবে যে দেশের স্বার্থ বিজেপির রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে আলাদা। জেডি (ইউ), আরজেডি, বাম এবং তৃণমূল কংগ্রেসও এই ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে। তবে, সেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) এবং আপ-এর মত দলগুলো, যারা আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সমর্থন করেছিল, তারা গোটা ঘটনায় নীরব।
আরও পড়ুন- আরিহা শাহ মামলা! কেন ভারতীয় শিশুকে মা-বাবার থেকে কাড়ল জার্মান আদালত?
এব্যাপারে ২১তম আইন কমিশন কী বলছে?
ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি 'বর্তমান সময়ে প্রয়োজনীয় বা কাঙ্খিত নয়', একথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে ভারতের ২১তম আইন কমিশন, ২০১৮ সালে কিছু বিষয় সংশোধনের মাধ্যমে প্রতিটি ধর্মের পারিবারিক আইন সংস্কারের পক্ষে যুক্তি সাজিয়েছিল।