/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/12/ie-mathura-idgah.jpg)
শাহি ইদগাহ মসজিদের সামনে কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির। (এক্সপ্রেস আর্কাইভ ছবি, সঞ্জয় কে শর্মা)
শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ মসজিদ বিবাদে, বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদ কমপ্লেক্স পরিদর্শনের জন্য একটি কমিশন নিয়োগের আবেদনে অনুমতি দিয়েছে। হিন্দু আবেদনকারীরা বিশ্বাস করেন যে ১৬৭০ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশে তৈরি মসজিদটি মথুরায় ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থানের ওপরে নির্মিত হয়েছিল। আজ, এটি কৃষ্ণ জন্মস্থান মন্দিরের পাশে অবস্থিত, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ হিন্দু ভক্ত কৃষ্ণ জন্মস্থান পরিদর্শন করেন।
সর্বশেষ আবেদন
আদেশবিধি ২৬-এর ৯ সিপিসির অধীনে দায়ের করা সর্বশেষ আবেদনটি আট জনের দায়ের করা একটি (২০২৩ সালের ৩৫৩ নং) পিটিশনের অংশ। যে পিটিশনের ভিত্তিতে শাহি ইদগাহ মসজিদের একটি সমীক্ষার নির্দেশ বৃহস্পতিবার দিয়েছে বিচারপতি মায়াঙ্ক কুমার জৈনের বেঞ্চ। পিটিশনে আবেদন করা হয়েছে, হাইকোর্ট যাতে ইউপি সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটিকে এই বিবাদে, 'জমি দখল করে তাদের দ্বারা উত্থাপিত নির্মাণ অপসারণের' নির্দেশ দেয়। পিটিশনটি আদালতকে আরও বলেছে যে আদালতের দেওয়া সময়ের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে জমি হস্তান্তর করার জন্য দুটি বিরোধী পক্ষকে নির্দেশ দিতে। আবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে ওয়াকফ বোর্ড এবং মসজিদ কমিটি আর তাদের পক্ষের লোকজন যেন কাটরা কেশব দেব সিটি এবং জেলা মথুরার ১৩.৩৭ একর জমির প্রাঙ্গনে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকে। আদালত যেন তেমনই নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন- সংসদে হামলাকারীদের অনুপ্রেরণা ভগৎ সিং? যা জানা গেল
আবেদনে যা বলা হয়েছে
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, মন্দির পরিচালনা কর্তৃপক্ষ শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থা আইনের অধীনে একটি নিবন্ধিত সমিতি। তার সঙ্গে ট্রাস্ট শাহি মসজিদ ইদগাহ-র মধ্যে ১২ অক্টোবর, ১৯৬৮ তারিখে একটি 'সমঝোতা চুক্তি' হয়েছিল। যা 'অবৈধ এবং বাতিল'। এর পিছনে যুক্তি দেখানো হয়েছে, যারা চুক্তি করেছে, তাদের শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থানের সম্পত্তির ওপর কোনও অধিকার ছিল না। হিন্দু পক্ষের পক্ষ থেকে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে যে, 'একথা সত্য এবং ইতিহাসের বিষয় যে আওরঙ্গজেব দেশ শাসন করেছিলেন। তিনি জন্মস্থানে দাঁড়িয়ে থাকা মন্দির-সহ বিপুল সংখ্যক হিন্দু ধর্মীয় স্থান ও মন্দির ভেঙে ফেলার আদেশ জারি করেছিলেন। আওরঙ্গজেবের সেনাবাহিনী আংশিকভাবে কেশব দেব মন্দির ভেঙে ফেলেছিল। সেখানে নতুন নির্মাণকাজ চালিয়েছিল। ঘোষণা করেছিল যে, নতুন নির্মাণের নাম ইদগাহ মসজিদ।'