/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/winter-diesel-ladakh.jpg)
অনুমতি পেলে আইওসি সশস্ত্র বাহিনীকে উইন্টার ডিজেল সরবরাহ করা শুরু করতে পারে
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী খুব তাড়াতাড়ি লাদাখের মত উঁচু জায়গায়, যেখানে শীতকালীন তাপমাত্রা খুবই কমে যায়, সেখানে উইন্টার ডিজেল ব্যবহার শুরু করতে পারে। ভারতের বৃহত্তম তৈল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন এই উইন্টার ডিজেলের ব্যাপারে ডিরেক্টর জেনারেল অফ কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্সের অনুমতি চেয়েছে। অনুমতি পাওয়া হলে সশস্ত্র বাহিনী এই ডিজেল ব্যবহার করতে পারবে, য়া -৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও কার্যকর থাকে।
উইন্টার ডিজেল কী?
বিশেষ করে লাদাখের মত উঁচু এবং কম তাপমাত্রার জায়গায়, যেখানে সাধারণ ডিজেল কাজে লাগে না, সেখানে ব্যবহারের জন্য গত বছর বিশেষ জ্বালানি উইন্টার ডিজেল প্রস্তুত করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড। সংস্থার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রধান এসভি রামকমার বলেছেন সাধারণ ডিজেলের কিছু বৈশিষ্ট্য কম তাপমাত্রায় পরিবর্তিত হয়ে যায়, ফলে গাড়ি চলে না। রামকুমার বলেছেন উইন্টার ডিজেলে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ইঞ্জিনের ভাল পারফরম্যান্সের জন্য কার্যকর হবে।
রামকুমার বলেছেন, উইন্টার ডিজেলের আগে কম তাপমাত্রার এলাকায় ডিজেলের ঘনত্ব কমানোর জন্য তাতে কেরোসিন ঢালা হত, যার জেরে বায়ুদূষণ বাড়ে।
সশস্ত্র বাহিনী কীভাবে কাজ চালাচ্ছে এই এলাকায়?
ইন্ডিয়ান ওয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম সশস্ত্র বাহিনীকে ডিজেল হাই সালফার পোর পয়েন্ট দিয়ে থাকে, যা -৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কার্যকর।
অনুমতি পেলে আইওসি সশস্ত্র বাহিনীকে উইন্টার ডিজেল সরবরাহ করা শুরু করতে পারে।
লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার কারণেই কি এই ধরনের জ্বালানির চাহিদা বেড়েছে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্ত উত্তেজনার কারণে এই চাহিদা বৃদ্ধি পয়েছে, তবে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পর এ ধরনের জ্বালানির চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে সেনার তরফ থেকে বাড়েনি।