What poll panel has said, and what remains unclear: এবারের নির্বাচনে ডিপফেক নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসিআই)। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই ধরনের বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার না করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। যদি করে থাকে, তবে দলগুলোকে অবিলম্বে তা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা সময়সীমাও কমিশন বেধে দিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এই ধরনের ডিপফেক ফরোয়ার্ড করা, পুনরায় শেয়ার করা, পুনরায় পোস্ট করা, পুনরায় টুইট করা বেআইনি।
কেন কড়া কমিশন?
বিজেপি, কংগ্রেস, ডিএমকে, এআইএডিএমকের মত দলগুলোর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো চলতি নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ডিপফেক তৈরি করেছে বা তা শেয়ার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর, তারপরই ডিপফেক নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে কমিশন। কেন্দ্রীয় আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, বিজেপি মুখপাত্র অনিল বালুনি ও প্রবীণ বিজেপি নেতা ওম পাঠককে নিয়ে গঠিত বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল বিষয়টি নির্বাচন কমিশন (ইসিআই)-এর নজরে এনেছিল। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অভিনেতা আমির খান ও অভিনেতা রণবীর সিংয়ের ডিপফেক ভিডিওগুলিকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিশন কিন্তু, প্রচারে এআই ব্যবহার করতে বারণ করেনি। শুধু, ভুল তথ্য ছড়াতে নিষেধ করেছে।
নির্বাচন কমিশন বলেছে
ডিপফেক ব্যবহারে ভোটারদের আস্থার ক্ষতি হয়। ভোটাররা ভুলভাবে প্রভাবিত হন। মহিলাদের জন্য অবমাননাকর কোনও কিছু সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতেও কমিশন নিষেধ করেছে। রাজনৈতিক দলের অফিসিয়াল হ্যান্ডেলের কায়দায় তৈরি ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলো সম্পর্কেও অভিযোগ জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করার পাশাপাশি, দলগুলোকে তথ্য প্রযুক্তির বিধি ৩এ-এর অধীনে অভিযোগ আপিল কমিটির (GAC) কাছে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ইন্দিরার বিশ্বাসঘাতকতা! সরকার ভাঙাগড়ার খেলায় কতটা পটু ছিলেন দেশের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী?
কমিশনের অবস্থানে যা অস্পষ্ট থেকে গিয়েছে
ইতিমধ্যে নির্বাচনের তিনটি ধাপ দেশবাসী পেরিয়ে এসেছে। দলগুলোর বিরুদ্ধে আগে থেকেই ডিপফেক ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তাতে কমিশনের কড়া অবস্থান কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, কমিশন যখন ডিপফেকগুলো সরিয়ে ফেলা উচিত বলে জানাচ্ছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর আধিকারিকরা তা শেয়ার করে, ব্যবহার করেও বিনা শাস্তিতেই কাটাচ্ছেন। তাছাড়া কমিশনের চিঠিতে ফেসবুক, টুইটার বা এক্স মাধ্যম এবং ইনস্টাগ্রামের মত সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিপফেক ব্যবহারের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। কিন্তু, বর্তমানে যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, সেই হোয়াটসঅ্যাপের সম্পর্কে সেখানে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা নেই। তাছাড়া, দলগুলো ভোটারদের সঙ্গে এআই-ভিত্তিক রিয়েল-টাইম কল ব্যবহার করে যোগাযোগ করছে। যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের বাইরে। এক্ষেত্রে কমিশন কী ব্যবস্থা নেবে, তা-ও স্পষ্ট নয়।