সোমবার জয়পুর এক্সপ্রেসে তিনজন লোককে হত্যার পিছনে অভিযুক্ত রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) কনস্টেবল চেতন সিংয়ের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বিবৃতি রেল মন্ত্রক প্রত্যাহার করেছে। একইসঙ্গে জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও তদন্ত অব্যাহত। বুধবার (৩ আগস্ট), রেলওয়ে বলেছিল যে চেতন সিং ও তাঁর পরিবার ওই কনস্টেবলের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো অফিস থেকে গোপন রেখেছিল। কিন্তু, পরে গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে রেল মন্ত্রক বিবৃতিটি প্রত্যাহার করে নেয়। এই প্রসঙ্গে রেল মন্ত্রক তার প্রথম বিবৃতিতে জানিয়েছিল, 'চেতন সিং সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর চিকিৎসা করিয়েছেন। তিনি ও তার পরিবার বিষয়টি গোপন রেখেছেন। সেসব কথা সরকারি নথিতে নেই।'
চেতন সিং যা করেছেন
সোমবারের প্রথম দিকে আরপিএফ কনস্টেবল চেতন সিং ছিলেন এসকর্ট ডিউটিতে। তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তা এএসআই টিকারাম মিনা এবং জয়পুর-মুম্বই সেন্ট্রাল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে থাকা তিন যাত্রীকে চেতন সিং গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। এই যাত্রীরা হলেন বিহারের মধুবনি থেকে আসা আসগর আব্বাস আলি, মহারাষ্ট্রের পালঘরের নালাসোপাড়ার আবদুল কাদের মহম্মদ হুসেন ভানপুরওয়ালা (৬৪) ও হায়দ্রাবাদের নামপল্লির সৈয়দ সইফুল্লাহ (৪৩)।
আরপিএফ জওয়ানদের ফিটনেস পরীক্ষা
আরপিএফ আধিকারিকরাও রেলের অন্যান্য আধিকারিকদের মত চাকরির ক্ষেত্রে তাদের ফিটনেস পরীক্ষা করার জন্য প্রতি পাঁচ বছরে পর্যায়ক্রমিক মেডিকেল পরীক্ষা (পিরিওডিক মেডিক্যাল এক্সামিনেশন বা পিএমই) করান। রেলের প্রাথমিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'গত পিএমইতে, এই ধরনের কোনও রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।' প্রায় দুই ঘণ্টা পরে রেলওয়ে বিবৃতিটি মুছে দেয় এবং জানায় যে যাবতীয় দিকগুলো খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- জ্ঞানবাপি মসজিদ সমীক্ষায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের অনুমতি, মামলার সময়সারণি
তদন্তে উচ্চস্তরের কমিটি
আরপিএফ কর্মীরা ডিউটি চলাকালীন আগ্নেয়াস্ত্র বহন করেন। তাই তাঁদের মনোবিশ্লেষণ, তাঁরা কাজ করার জন্য মানসিকভাবে উপযুক্ত কি না, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। উচ্চস্তরের কমিটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করছে। আরপিএফ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো শনাক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষাগুলো পর্যায়ক্রমে করা হয় কি না, সেই ব্যাপারে অবশ্য রেলকর্তারা কোনও কিছু স্পষ্ট করতে পারেননি।