Advertisment

Explained: জাতীয় সংগীতের সময় উঠে দাঁড়ানো, কী নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট?

এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Supreme_Court

শ্রীনগরের একজন কার্যনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১১ জন পুরুষকে ২৫ জুনের অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের জন্য উঠে না-দাঁড়ানোর অভিযোগে আটক করে জেলে পাঠিয়েছেন। ওই অনুষ্ঠানে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা উপস্থিত ছিলেন। এই ব্যাপারে শ্রীনগর পুলিশ বৃহস্পতিবার টুইট করেছে যে, '১২ জনকে সিআরপিসির ১০৭/১৫১ ধারায় অসদাচরণের জন্য আটক করা হয়েছে।'

Advertisment

ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ

এর সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে যে, '১৪ জন পুলিশকর্মীকে এই ঘটনায় সাসপেন্ড এবং গ্রেফতার করার খবর অসমাপ্ত এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা।' গত ৩ জুলাই ধৃতদের কার্যনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়েছিল। বিচারক নিশাত শ্রীনগর থানার আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছেন, 'অভিযুক্তদের ৭ দিন শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেলে রাখতে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে।' আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে ধৃতরা, 'মুক্তি পেলে শান্তি ভঙ্গ করতে পারে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে।'

আইনের ধারা

ফৌজদারি কার্যবিধি ১৯৭৩-এর ধারা ১০৭ অনুযায়ী একজন কার্যনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, 'শান্তি ভঙ্গ করতে পারে বা জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে বা এমন কোনও অন্যায় কাজ করতে পারে যা সম্ভবত শান্তি ভঙ্গ করতে পারে বা জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নিত করেছে, এমন কোনও ব্যক্তিকে কেন একবছর কারাদণ্ড এবং সঙ্গে জরিমানা করা হবে না, তা জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছে।' ধারা ১৫১ সিআরপিসি একজন পুলিশ অফিসারকে অনুমতি দিয়েছে যে তিনি কোনও অপরাধের ছক কষছে এমন ব্যক্তিকে ওয়ারেন্ট এবং ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারেন।

আইনি পরিভাষা

আইনি ভাষায়, 'আবদ্ধ' কথাটির অর্থ হল একটি নির্দিষ্ট তারিখে তদন্তকারী অফিসার বা আদালতের সামনে অভিযুক্তকে উপস্থিত হতে হবে। এই শব্দটি সাধারণত আদালতের আদেশে ব্যবহার করা হয়। সেই সময় ব্যবহার করা হয়, যখন একজন অভিযুক্ত জামিন পাওয়া বা কর্তৃপক্ষের সামনে হাজিরার জন্য ব্যক্তিগতভাবে গ্যারান্টি দিয়ে থাকেন।

সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে

সুপ্রিম কোর্ট শ্যাম নারায়ণ চৌকসে বনাম ভারত সরকার মামলায় (২০১৬) এব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে। মামলার শুনানিতে অন্তর্বর্তী আদেশে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত বলেছিল যে, 'ভারতের সমস্ত সিনেমা হলে সিনেমা শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সংগীত বাজানো হবে এবং হলে উপস্থিত সকলে জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য সেই সময় উঠে দাঁড়াতে বাধ্য।' আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছিল যে সংগীত বাজানোর সময়, 'পরদায় জাতীয় পতাকা থাকবে। আর, হলের প্রবেশ এবং প্রস্থানের দরজা বন্ধ থাকবে।'

আরও পড়ুন- সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে এনসিপি, শরদ পাওয়ারের ক্যারিশমা?

নির্দেশ সংশোধন

যদিও ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি, আদালত তার অন্তর্বর্তী আদেশ সংশোধন করে জানিয়েছে, 'সিনেমা প্রদর্শনের আগে জাতীয় সংগীত বাজানো বাধ্যতামূলক নয়। সেটা ঐচ্ছিক বা নির্দেশমূলক।' কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রসঙ্গে আদালতকে জানিয়েছে, হলগুলোয় সিনেমার আগে জাতীয় সংগীত বাজানো বা গাওয়া হবে কি না, মন্ত্রিসভার ১২ সদস্যের একটি কমিটি সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

Arrest jammu and kashmir supreme court
Advertisment