Advertisment

Explained: প্রায় একবছর পর জেল থেকে মুক্ত সিধু, কোন মামলায় তিনি জেলে গিয়েছিলেন?

এর আগে একই মামলায় সিধুর ১,০০০ টাকা জরিমানা হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Navjot Singh Sidhu

সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু শনিবার (১ এপ্রিল) পাতিয়ালা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গত বছরের ১৯ মে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। তার একদিন পর ২০ মে পাতিয়ালা আদালতে সিধু আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারপর থেকে সাজা ভোগ করছিলেন সিধু। গত শনিবার তাঁর সাজার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে।

Advertisment

সিধুর মামলার সময়সারণি

১৯৮৮, ডিসেম্বর ২৭: নভজ্যোৎ সিং সিধু এবং সহ-অভিযুক্ত রুপিন্দর সিং সান্ধু ওরফে বান্নি একটি জিপসিতে ছিলেন। পাতিয়ালার বাসিন্দা গুরনাম সিং-এর সঙ্গে তাঁদের ঝগড়া হয়। গুরনাম তাঁদের দু'জনকে বলেছিলেন জিপসিকে রাস্তার একপাশে নিয়ে যেতে। যাতে তিনি নিজের গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। ঘটনাটি ঘটে সিধুর নিজের শহর পাতিয়ালার শেরানওয়ালা গেটের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ৬৫ বছর বয়সি গুরনামকে সিধু মারধর করেছিলেন। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। আহত গুরনামকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

১৯৯৯, সেপ্টেম্বর: নিম্ন আদালত সিধু ও বান্নিকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে।

২০০৬, ডিসেম্বর: পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সিধু ও বান্নিকে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে। তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।

২০০৭: সিধু ও বান্নি হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে, আদালত সিধু ও বান্নির সাজায় স্থগিতাদেশ দেয়।

আরও পড়ুন- সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নিয়ে শাহ-রাজ্যপাল আলোচনা, অতিরিক্ত বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

২০১৮: সুপ্রিম কোর্ট স্বেচ্ছায় গুরনামকে আঘাত করার জন্য সিধুকে দোষী সাব্যস্ত করে। একইসঙ্গে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রায়ের বিপরীতে গিয়ে সিধুকে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। ওই বছর ১৫ মে-এর একটি রায়ে সিধুকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারার অধীনে ১,০০০ টাকা জরিমানা করে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বিচার করে দেখে যে সিধুর ঘটনাটি ৩০ বছরের পুরোনো। সিধু ও গুরনামের মধ্যে কোনও পূর্ব শত্রুতা ছিল না। আর অভিযুক্ত সিধু ও বান্নি এই ঘটনায় কোনও অস্ত্র ব্যবহার করেনি।

২০১৮, সেপ্টেম্বর: গুরনামের পরিবার এই ঘটনায় সিধুর আরও শাস্তি চেয়ে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায়। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে।

২০২২, মে ১৯: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএম খানউইলকর ও বিচারপতি এসকে কউলের আদালত, এই মামলায় সিধুকে একবছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। আদালত বলে, 'কিছু বস্তুগত দিক যা মনে রাখা দরকার, সেগুলো সাজা দেওয়ার পর্যায়ে কোনওভাবে বাদ চলে গিয়েছে।'

Court Order sidhu Jail
Advertisment