India-Pakistan trade: ভারতের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্যে বিরাট চেষ্টা পাকিস্তানের! এত আগ্রহী কেন ইসলামাবাদ?
India-Pak trade: ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে সাংবিধানিক পরিবর্তনের পর পাকিস্তান বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। ভারত-পাক সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলির মত, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ইসলামাবাদের কঠোর অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের দ্বারা বাণিজ্যও প্রভাবিত হয়েছে।
India-Pak trade: ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে সাংবিধানিক পরিবর্তনের পর পাকিস্তান বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। ভারত-পাক সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলির মত, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ইসলামাবাদের কঠোর অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের দ্বারা বাণিজ্যও প্রভাবিত হয়েছে।
What will it take to resume India-Pakistan trade: পাকিস্তানের নতুন বিদেশমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার সম্ভাবনার কথা বলেছেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। প্রশ্ন হল, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করতে হলে কী দরকার? ২৩ মার্চ, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ঈশাক দার বলেছিলেন যে তাঁর দেশ ভারতের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য শুরু করার বিষয়টিকে 'গুরুত্ব' দিয়ে বিবেচনা করছে।
Advertisment
সম্পর্কের টানাপোড়েনে ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্য ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে সাংবিধানিক পরিবর্তনের পর পাকিস্তান বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। ভারত-পাক সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলির মত, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ইসলামাবাদের কঠোর অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের দ্বারা বাণিজ্যও প্রভাবিত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের অর্থনীতির ভয়াবহ অবস্থা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আশা জাগিয়েছে। যদিও, নয়াদিল্লি এখনও গোটা বিষয়টিতে তার অবস্থান স্পষ্ট করেনি।
পাকিস্তানি মন্ত্রীর বক্তব্যের কি বিশেষ গুরুত্ব আছে? বছরের পর বছর, দার পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি আর্থিক বিভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি পূর্ববর্তী শেহবাজ শরিফ সরকারের (২০২২-২৩) অর্থমন্ত্রী ছিলেন। পাকিস্তানের গভীর আর্থিক সংকট তিনি সামনে থেকে দেখেছেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে আর্থিক সহায়তা আদায়ের জন্য তিনি পাকিস্তানের হয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।
Advertisment
আর্থিক সমস্যায় ব্যবসায়ীদের চাপ দ্বিতীয় বিষয়টি হল, ব্যবসায়ীদের চাপ। আইএমএফের আরোপিত শর্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল জ্বালানির দাম বৃদ্ধি। কিন্তু, এই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পাকিস্তানি মুদ্রার মূল্য হ্রাস পাওয়ায় তার আমদানি কমে গেছে। দার উল্লেখ করেছেন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ইতিমধ্যে দুবাই বা অন্যান্য দেশের মাধ্যমে বাণিজ্য হচ্ছে। এতে খরচ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষতা এবং ভৌগোলিক প্রয়োজন সরাসরি বাণিজ্য ফের শুরু করার দাবি জানিয়েছে। আর, এই দাবিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা।
ভারতের জিডিপি বেশি বর্তমানে পাকিস্তানের জিডিপি ভারতের চেয়ে ১০ গুণ কম। পাকিস্তানের নিম্নহারে বৃদ্ধির ফলে, ভারত এবং পাকিস্তানের জিডিপির ব্যবধান আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা। তার ওপর আফগানিস্তান এবং ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তা এতটাই উত্তপ্ত যে, আফগানিস্তান এবং ইরানের সঙ্গে পশ্চিম সীমান্তের চেয়ে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের পূর্ব সীমান্ত অনেক বেশি স্থিতিশীল।