Advertisment

হোয়াটসঅ্যাপ থেকে নম্বর ফাঁস গুগলে, কী করে হল?

এই নম্বরগুলি গুগলে দেখা যাচ্ছে এবং আমেরিকা, ব্রিটেন ও ভারতের ব্যবহারকারীরাই এতে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
whatsapp click to chat number exposed

এ বিষয় নিয়ে সব ইউজারের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই

ভারতের এক স্বাধীন সাইবার সিকিউরিটি গবেষক দাবি করেছেন হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েবপোর্টাল ২৯০০০ থেকে ৩ লক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর মোবাইল নাম্বার প্লেনটেক্সটে ফাঁস করে দিয়েছে, যা যে কোনও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর আওতায় চলে গিয়েছে। অতুল জয়রামন নিজেকে সর্বক্ষণের বিগ বাউন্টি শিকারী বলে দাবি করে থাকেন। তিনি বলেন এই নম্বরগুলি গুগলে দেখা যাচ্ছে এবং আমেরিকা, ব্রিটেন ও ভারতের ব্যবহারকারীরাই এতে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর জবাবে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে বলা হয়েছে এটি কোনও বিগ বাউন্টি নয়, কারণ এতে একটি সার্চ ইঞ্জিনের ইউআরএলের সূচি রয়েছে যা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা জনসমক্ষে আনতে সম্মত হয়েছেন।

Advertisment

হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর গুগলে গেল কী করে?

জয়রামন বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার যাতে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা ব্যক্তিরা কিউ আর কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের যুক্ত করতে পারেন, সেখানে ডিকোডেড অংশ https://wa.me/ ইউ আরএলে চলে যায়। এই ফিচারে হোয়াটসঅ্যাপে ক্লিক টু চ্যাট অপশন রয়েছে যেখানে লিংক জেনারেট হয়। অতুলের বক্তব্য এই লিংকে ফোন নম্বর এনক্রিপ্ট করা হয় না ফলে ফোন নম্বর প্লেনটেক্সটে দেখা যায়।

কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ?

জয়রামনের দাবির জবাবে হোয়াটসঅ্যাপের জনৈক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন তাদের ক্লিক টু চ্যাট এমন একটি ফিচার যাতে ব্যবহারকারীরা একটি ইউআরএল তৈরি করতে পারেন যার মাধ্যমে যে কেউ তাঁদের মেসেজ করতে পারেন। এই ফিচার সারা পৃথিবীর ছোট ও অতি ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছেন যাতে তাঁরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা ওই গবেষকের রিপোর্টকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং তিনি যে মূল্যবান সময় দিয়ে বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন তাকেও স্বাগত জানাচ্ছিস তবে এটা বাউন্টি হিসেবে গৃহীত নয় কারণ এটি কেবলমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের একটি সার্চ ইঞ্জিনের ইউআরএল সূচি, যা ওই ব্যবহারকারীরা প্রকাশ্য করতে চেয়েছেন। সমস্ত হোয়টসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরাই একটি বাটন টিপে অনাকাঙ্ক্ষিত সব মেসেজ ব্লক করতে পারেন।”

হোয়াটসঅ্যাপ এই ফিচারের কথা স্বীকার করে নিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে যাঁরা ওই লিংক শেয়ার করছেন, তাঁরা সচেতন ভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যে অন্য ব্যবহারকারীরা তাঁদের নম্বর দেখতে পাবেন। তবে এ ধরনের ইউআরএল কোনও ব্যবহারকারীর শেয়ার করার কথা নয়।

ইতিমধ্যে গুগল wa.me-র ইনডেক্সিং বন্ধ করে দিয়েছে। এ থেকে মনে হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ এখন সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে ইউআরএল ক্রল করা থেকে ব্লক করে দিয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপের ক্লিক টু চ্যাট ফিচার কী?

হোয়াটসঅ্যাপ ব্লগে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে এর ক্লিক টু চ্যাট ফিচারে ব্যবহারকারীরা ফোনের অ্যাড্রেসবুকে কারও নম্বর থাকলে সেখান থেকেই চ্যাট করা শুরু করতে পারেন। তবে ব্যবহারকারীর কাছে ওই ব্যক্তির ফোন নম্বর থাকতে হবে এবং তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ থাকতে হবে যাতে চ্যাটের লিংক জেনারেট করে।

ক্লিক টু চ্যাট ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবে কাজ করে। ব্যবহারকারীরা নম্বর অ্যাড করার মাধ্যমে ক্লিক টু চ্যাটের লিংক জেনারেট করেন, যা আন্তর্জাতিক ফর্ম্যাটে দেশের কোড সহ থাকে। ইন্টারন্যাশনাল ফর্ম্যাটে ফোন নম্বর অ্যাড করার সময়ে শূন্য, ব্র্যাকেট বা ড্যাশ বাদ দিন। এ ধরনের লিংকে আগে থেকে লিখে রাখা মেসেজও অ্যাড করা যায়।

নিয়মিত ব্যবহারকারীদের কাছে কি এটি উদ্বেগের বিষয়?

না, এ বিষয় নিয়ে সব ইউজারের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। যাঁরা ক্লিক টু চ্যাট লিংক ক্রিয়েট করেছেন এবং তা টুইটার বা অন্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জনসমক্ষে দিয়েছেন, তাঁদের নম্বর প্রকাশিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে বলার এই ব্যবহারকারীরা একটু সাবধানতার সঙ্গে এইসব লিংক ক্রিয়েট করুন, বিশেষ করে যখন সেখানে কোনও ব্যক্তিগত ফোন নম্বর জেনারেটেড হচ্ছে। আপনার নম্বর যে কোনও প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করবেন না যা গুগলে চলে যেতে পারে। আর নম্বরের সঙ্গে যদি নামও থাকে, তাহলে তা আরও বড় সমস্যার হতে পারে।

Whatsapp
Advertisment