সোমবার (১৭ অক্টোবর) জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড (জেজেবি) নির্দেশ দিয়েছে যে ২০১৭ সালে গুরুগ্রামে সাত বছরের সহপাঠীকে হত্যা মামলায় ১৬ বছর বয়সি কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক ধরে বিচার করা হবে। জেজেবি এই ব্যাপারে জুলাইয়ে একজন মনোবিজ্ঞানীর মতামত চেয়েছিল। তার অপরাধ করার মানসিকতা, হত্যার তারিখে এর পরিণতি বোঝার জন্য। ওই মনোবিজ্ঞানী ৩ আগস্টের মধ্যে বোর্ডের সামনে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল।
কী বলেছে আদালত
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জেজেবি ওই কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক ধরে বিচারের নির্দেশ দিল। এর আগে গত ১৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের ২০১৮ সালের নির্দেশ বহাল রাখে। হাইকোর্ট বলেছিল যে অভিযুক্তকে আবার পরীক্ষা করা দরকার। একইসঙ্গে হাইকোর্ট কেন্দ্র, জাতীয় এবং রাজ্য শিশু অধিকার সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল জেজেবিকে একটি নির্দেশ দেওয়ার জন্য। যাতে জেজেবি একটি জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সের কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক ধরে বিচার করা যায় কি না, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আইন কী বলে?
দ্য জুভেনাইল জাস্টিস (কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন) অ্যাক্ট (জেজে অ্যাক্ট) এর ১৫ ধারা অনুসারে, যেখানে ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সি কোনও কিশোর একটি জঘন্য অপরাধ করেছে- এমন একটি অপরাধ যার সর্বনিম্ন শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড- কিশোরটির বিচার করা হবে কি না, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে JJB-কে 'এই ধরনের অপরাধ করার জন্য তার মানসিক এবং শারীরিক ক্ষমতা, অপরাধের পরিণতি এবং যে পরিস্থিতিতে সে অপরাধ করেছে, তা বোঝার ক্ষমতা সম্পর্কে একটি প্রাথমিক মূল্যায়ন করতে হবে।' জেজেবির সামনে ওই কিশোরকে হাজির করার তিন মাসের মধ্যে মূল্যায়ন সেরে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন- নাগপুরে সমিতি ও জেলা পরিষদ কংগ্রেসের, গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়জয়কার বিজেপি-শিণ্ডেদের
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ
শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, জেজেবিতে কোনও শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ না-থাকলে, তেমন কোনও বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে হবে জেজেবিকে। এমনিতে জেজেবি একজন বিচার বিভাগীয় আধিকারিক এবং দু'জন সমাজকর্মীকে নিয়ে গঠিত হয়। ২০১৫ সালে জেজে অ্যাক্ট সংশোধিত হয়। তার আগে অবধি এই আইনে ১৮ বছর বা তার কমবয়সিদের শিশু হিসেবেই গণ্য করা হত।
Read full story in English