১৬ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাকরণ চালু হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮ কোটি মানুষ টিকা নিতে সক্ষম হয়েছে। তাও প্রথম ডোজ। এই ১৮ কোটির মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে টিকাকরণ সম্পূর্ণ করেছেন মাত্র ৪ কোটি। অর্থাৎ ৫ মাস কেটে গেলেও ভারতের মোট জনসংখ্যার ১০% মানুষেরও সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়নি। কেন? এই প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসকরা বলছেন, টিকার অপ্রতুল সরবারহ এবং চাহিদার সঙ্গে জোগানের তারতম্য।
এবার তাহলে প্রশ্ন উঠছে, যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাঁরা কবে দ্বিতীয় ডোজ নেবেন? আর যারা এখনও টিকাকরণের আওতাভুক্ত নয়, তাঁরা কবে টিকা পাবেন? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কেউ যদি করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকে, তবে তাঁর টিকাকরণের ভবিষ্যৎ কী?
দেখুন কী বলছেন চিকিৎসকরা:
- ভারতে টিকাকরণের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান কত?
প্রাথমিক ভাবে কোভিশিল্ডের জন্য এই ব্যবধান ছিল ৪-৬ সপ্তাহ। আর কোভ্যাকসিনের জন্য ছিল ২৮ দিন। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে সেই ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। কোভিশিল্ডের জন্য দুটি ডোজের ব্যবধান ৪-৮ সপ্তাহ। আর কোভ্যাকসিনের জন্য দুটি ডোজের ব্যবধান ৪-৬ সপ্তাহ রাখা হয়েছে। এপ্রিলে কেন্দ্র একটি সংশোধিত গাইডলাইন দিয়েছে। তাতে উল্লেখ, ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে কোভিশিল্ড নেওয়া যাবে।
- আপনি এখনও পর্যন্ত টিকা নেননি। কিন্তু সংক্রমিত হয়েছেন। সুস্থ হওয়ার কতদিন পর আপনি টিকা নিতে সমর্থ হবেন?
এই প্রসঙ্গে মার্কিন সংস্থা সিডিসি বলেছেন, সংক্রমণ ধরা পড়ার দিন থেকে ৯০ দিন। অর্থাৎ ৩ মাস বাদে আপনি টিকা নেওয়ার যোগ্য। পাশাপাশি ভারতীয় গবেষক চিকিৎসক বিনীতা বল বলেছেন, সংক্রমণ ধরা পড়ার দিন থেকে অন্তত দু’মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করে যাওয়ায় উচিত। কারণ আপনি সংক্রমিত হলে শরীরে যে প্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি হয়, সেটা আড়াই-তিন মাস স্থায়ী হয়। যদিও হুয়ের মতো ৬ মাস পরেও টিকা গ্রহণে সমস্যা নেই। কারণ শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধক ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৬ মাস আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে।
- আপনি প্রথম ডোজ নেওয়ার পর সংক্রমিত হলেন, সেটা দ্বিতীয় ডোজে কীভাবে প্রভাব ফেলবে?
সংক্রমিত হওয়ার দিন থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত আপনি অপেক্ষা করতে পারবেন। তারপর দ্বিতীয় ডোজ নিলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি তাঁকে বাইরের সংক্রমণে সঙ্গে সাময়িক লড়তে সাহায্য করবে।
- আপনি সংক্রমিত হননি, কিন্তু প্রথম ডোজ নেওয়া আছে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের জন্য হা পিত্যেশ করে বসে। সেক্ষেত্রে কী করনীয়?
শশাঙ্ক জোশি, মহারাষ্ট্র করোনা টাস্ক ফোর্সের সদস্য, বলেছেন, কোভ্যাক্সিন নিলে ৪৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায়। আর কোভিশিল্ডের জন্য ৩ মাস। তাই সেভাবে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।