Where is the monsoon: জুন মাস প্রায় শেষ হতে চলল। বর্ষা কোথায়? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। অথচ, এই প্রশ্ন ওঠার কথা নয়। উঠছে, কারণ এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্যাপসা গরম। বৃষ্টির জন্য হাহাকার চলছে। কিন্তু, এবছরও অন্যবারের মতই বর্ষা সময় অনুযায়ীই কেরলে পৌঁছেছিল। আর, ১০ জুন পর্যন্ত তা অনেকখানি অগ্রসরও হয়েছিল। যেমনটা প্রতিবার হয়। এদেশে বর্ষা প্রথমে কেরলেই প্রবেশ করে। তাই বর্ষার ঘাটতি নিয়ে দেশবাসীর তো বটেই, এমনকী আবহাওয়াবিদদেরও তেমন কোনও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ উপদ্বীপ শুষ্ক এবং গরম। মৌসুমী বায়ুর বঙ্গোপসাগর শাখাও এগোয়নি।
উত্তাপ গুরুতর আকার নিয়েছে
আর, তার জেরে এখনও পর্যন্ত জুনের প্রায় সব দিনই, উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে 'তাপপ্রবাহ', 'গুরুতর' আকার নিয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষা, যা কেরলে ঢুকেছিল, তা মহারাষ্ট্র পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু, উত্তর ভারতের সমভূমিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই রয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতের বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ৭০% জুন-সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয়ে থাকে। জলবায়ুগতভাবে, বর্ষা মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আন্দামান সাগরের ওপর দিয়ে যায় এবং কেরলের মধ্যে দিয়ে মূল ভূখণ্ডে অগ্রসর হয়। সেটা প্রতিবছর ১ জুন ঘটে। তারপরে বর্ষা মধ্যভারত পর্যন্ত দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয়। জুনের শেষ নাগাদ বর্ষা উত্তরভারতের উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, আশপাশের এলাকায় প্রবেশ করে। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বর্ষা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- মোদী সরকারের তাকলাগানো বিদেশনীতি! তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবারের চ্যালেঞ্জটা কী?
বেশি বৃষ্টির আশা
তবে, বর্ষা তাড়াতাড়ি এলেই দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, আর দেরিতে এলেই যে কম বৃষ্টিপাত হবে, এমন কোনও মানে নেই। কারণ, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ক্রমবর্ধমান বৃষ্টিপাত একাধিক কারণের ওপর নির্ভর করে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল যে, প্রাকৃতিক আন্তঃবার্ষিক পরিবর্তনশীলতাও প্রতিটি বর্ষাকে আলাদা রূপ দেয়। বৃষ্টিপাতের পরিমাণের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির যথেষ্ট বন্টন প্রাকৃতিক আন্তঃবার্ষিক পরিবর্তনশীলতার ওপরও নির্ভরশীল। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) চলতি মরশুমে ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি’ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। পরিমাণগতভাবে, ১৯৭১-২০২০ এর মধ্যে দেশে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮৮০ মিলিমিটার। এবার সেই বৃষ্টিপাতের ১০৬% বৃষ্টি হবে বলেই আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের দাবি, লা নিনার জন্যই দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হবে।