পূর্ব সিকিমের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী নাইরোবি মাছির সংস্পর্শে আসার পরে ত্বকে সংক্রমণের কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ৫ জুন, এমনটাই জানিয়েছেন ওই কলেজের কর্তারা। মাঝিতারের সিকিম মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এসএমআইটি) ক্যাম্পাসে নাইরোবি মাছি এবং পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতির পোকামাকড়ের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আধিকারিকরা এমনটাই জানিয়েছেন।
এই সব মাছিরা খাদ্য এবং প্রজনন ক্ষেত্রের সন্ধানে অন্যান্য অঞ্চলেও প্রবেশ করতে পারে। এমনটাই মনে করছেন সিকিমের স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা। কলেজ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে সংক্রমিত শিক্ষার্থীদের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তারা সুস্থও হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে সম্প্রতি আক্রান্ত এক ছাত্রের হাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।
নাইরোবি মাছি কী?
নাইরোবি মাছিকে কেনিয়ান ফ্লাই বা ড্রাগন বাগও বলা হয়। এগুলো ছোট, বিটল-সদৃশ পোকা। এর মধ্যে দুটি প্রজাতির পোকা রয়েছে। একটি পেডেরাস এক্সিমিয়াস এবং অন্যটি পেডেরাস সাবেউস। এগুলো কমলা এবং কালো রঙের হয়। বেশি বৃষ্টিপাতের অঞ্চলে এই সব পোকা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যেমন, গত কয়েক সপ্তাহে সিকিমে দেখা গিয়েছে। বেশিরভাগ পোকামাকড়ের মতো, বিটলের মত এই সব পোকাও উজ্জ্বল আলোয় আকৃষ্ট হয়।
আরও পড়ুন- বিদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাঠাতে পারবেন আত্মীয়রা, কেন্দ্রের ‘ফেরা’য় বদল, কেন?
মানুষ কীভাবে এই সব পোকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
সাধারণত, এই সব পোকাগুলো কীট-পতঙ্গ খায়। বিশেষ করে যে সব কীট-পতঙ্গ ফসলের ক্ষতি করে, সেগুলো খায়। আর, যখন তারা সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে, তখন মানুষের ক্ষতি করে। স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, এই মাছি সাধারণত কামড়ায় না। তবে কারও ত্বকে বসার সময় বিরক্ত হলে তারা একটি কড়া ধাঁচের অ্যাসিডিক পদার্থ বের করে। যা কোনও কিছুকেই পুড়িয়ে দেয়।
এই অ্যাসিডের ধাঁচের পদার্থটিকে পেডারিন বলা হয়। এটি ত্বকের সংস্পর্শে এলে জ্বালা ধরায়। তার ফলে ত্বকে ক্ষত বা অস্বাভাবিক চিহ্ন বা রঙ তৈরি হয়। ত্বকের এই সমস্যা এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে নিরাময় হলেও কিছু গৌণ সংক্রমণ কিন্তু, ঘটতে পারে। বিশেষ করে যদি আক্রান্ত ব্যক্তি ওই পুড়ে যাওয়া ত্বকে আঁচড় দেন, তো।
Read full story in English