কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১১৩ আসন)-এর চেয়ে অনেক বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন যে, 'ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে। কর্ণাটকে ভালোবাসার দোকান খুলেছে।' রাহুলের দল প্রচারে দারিদ্রতা দূরীকরণ এবং জনকল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করেছিল। পাশাপাশি, সাম্প্রদায়িক সমস্যা মেটানোরও আশ্বাস ইস্তাহারে দিয়েছে।
দেশজুড়ে উৎসব
কর্ণাটকে তাদের জয় গোটা দেশে পালন করেছে কংগ্রেস। আর, পালন করারই কথা। কারণ, কর্ণাটকে জয়ের ফলে কংগ্রেস এখন সাতটি রাজ্যে ক্ষমতায় চলে এল। এর মধ্যে হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং কর্ণাটকে তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায়। আর, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং তামিলনাড়ুতে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক। তার মধ্যে কংগ্রেস হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতায় ফিরেছে।
হিমাচল প্রদেশ নির্বাচন
গত বছর (২০২২ সালে) কংগ্রেস হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতায় ফিরেছে। বিধানসভার বর্তমান মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত। হিমাচল প্রদেশের ৬৮ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেসের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ৪৫। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু পশ্চিম হিমাচলের নাদৌন কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তারা পেয়েছে মাত্র ২৫টি আসন। কংগ্রেস এখানে বিতর্কিত নতুন প্রকল্পের বদলে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনা-সহ বেশ কিছু জনমুখী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি, প্রশাসন-বিরোধিতার হাওয়া তো ছিলই।
আরও পড়ুন- হাতের দখলে কর্ণাটক, কোন জোরে বিজেপির থেকে কুর্সি হাতাল কংগ্রেস?
দ্বন্দ্ব দাগ কাটেনি
সব মিলিয়ে পার্বত্য রাজ্য হিমাচল প্রদেশের ক্ষমতায় এখন কংগ্রেস। তবে, ক্ষমতা দখলের পথ সহজ ছিল না। হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের একাধিক নামী নেতা আছেন। ফলে এই রাজ্যে কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তো ছিলই। তারপরও কংগ্রেস দ্বন্দ্ব মেটাতে সক্ষম হয়েছে। কারণ, তারা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছিল সুখবিন্দর সিং সুখুকে। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখই শুধু নন। সুখু কংগ্রেসের প্রাক্তন ছাত্রনেতাও। তার ফলে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বেশিদূর গড়ায়নি।