মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। যেহেতু ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্রকাশিত তার আগস্ট মাসের বুলেটিনে উল্লেখ করেছে, অন্যান্য সবজির দামের তুলনায় টমেটোর দামের অভূতপূর্ব ধাক্কা জুনের তুলনায় জুলাই মাসে পরিবর্তিত হয়েছে। যদিও মূল মুদ্রাস্ফীতি: অ-খাদ্য, অ-শক্তি উপাদানে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির গড় কিন্তু এখনও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৬ শতাংশের ওপরেই আছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে মুদ্রাস্ফীতি গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭.৪৪ শতাংশে পৌঁছেছিল। যা, ইঙ্গিত দেয় যে 'স্ফীতির জিন (দৈত্য) এখনও বোতলের বাইরে।' আরবিআই উল্লেখ করেছে যে মে এবং জুন মাসে শুরু হওয়া খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ক্রেতাদের ব্যাপক ধাক্কা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দ্রব্যের সরবরাহের গতি বজায় রেখে এবং মজুরি নিয়ন্ত্রণে রেখে মূল মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন দেশে পণ্যের দাম বেশ চড়া। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হওয়ার সঙ্গেই কৃষিপণ্য, ধাতু এবং শক্তিক্ষেত্রে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। যা খাদ্য এবং শক্তিক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছে। ভারতে এই ক্যালেন্ডার বছরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার আরবিআইয়ের মধ্যমেয়াদি মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। চলতি বছরে এমন ঘটনা তৃতীয়বার ঘটল। আর, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ঘটল সপ্তমবার।
আরও পড়ুন- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যু: র্যাগিংয়ের ব্যাপারে আইন কী বলছে?
বেঞ্চমার্ক সুদের হার (রেপো রেট) নির্ধারণ করার সময় আরবিআই প্রধানত খুচরো মুদ্রাস্ফীতির ওপর নজর রাখে। গত সপ্তাহে তার সর্বশেষ মুদ্রানীতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখেছিল। এমনকী, এটি উচ্চ খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষিতে ২০২৪ অর্থবর্ষের জন্য মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৫.১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫.৪ শতাংশে করেছে। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাংকের রেপো রেট অদূর ভবিষ্যতে বদলের সম্ভাবনা আছে। মুদ্রাস্ফীতির দেশব্যাপী প্রভাবে খাদ্যের দামও বেড়েছে। বিশেষ করে শাকসবজি, খাদ্যশস্য, ডাল, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের দাম খুচরো ও পাইকারি উভয় পর্যায়েই ব্যাপক বেড়েছে। জুলাই মাসে, ভারতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭.৪৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যার প্রভাব সারা দেশে সর্বব্যাপী।