বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) বিমানের মাধ্যমে সৌদি আরবের জেড্ডায় ২৫০ জনকে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ সুমেধা ২৫০ জনকে নিয়ে সুদান জেড্ডায় সরিয়ে নিয়েছে। থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় 530 ভারতীয়কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৩০ জন ভারতীয়কে সুদান থেকে সৌদি আরবে সরানো হয়েছে।
কবে ও কেন শুরু সংঘর্ষ?
সুদানের সামরিক বাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী ১৫ এপ্রিল থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে ভয়ানক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এতে কমপক্ষে ৪২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর, ৩,৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং র্যাপিড সাপোর্ট (সিকিউরিটি) ফোর্স (আরএসএফ)-এর প্রধান জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালো, যিনি হেমেত্তি নামেও পরিচিত, তাঁদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে তুমুল উত্তেজনা ও বাকযুদ্ধ চলে। তারপরই শুরু হয়েছে এই সংঘর্ষ। উভয় জেনারেলই সুদানের প্রধান সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চান। বুরহান চান সেনার অধিকারের নামে। আর, হামদান চান গণতন্ত্রের নামে।
পরিস্থিতিটা আলাদা ছিল
কয়েকবছর আগেও অবশ্য পরিস্থিতিটা ছিল অন্যরকম। বুরহান এবং হামদান ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর অল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুতে করতে হাতে হাত মিলিয়েছিলেন। সেই সম্পর্কের পতনের কারণ হল, সুদানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য হামদানের ক্রবর্ধমান উচ্চাকাঙ্ক্ষা। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকেই সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তিনি প্রচুর পরিমাণে সম্পদ সংগ্রহ করেছেন। আর, আরএসএফকে শক্তিশালী করেছেন। এরপরই প্রতিদ্বন্দ্বী বুরহানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন- তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ, তারপরও কেন ব্রিজভূষণের পক্ষে বিজেপি?
আরএসএফ গঠন
হামদানের বাহিনী আরএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৩ সালে তৈরি হয়েছিল। তবে, তার উৎস জানজাউইদ মিলিশিয়ারা। এরা হল আরব উপজাতিদের একটি দল। যাদের মূল ঘাঁটি পশ্চিম সুদানে, দারফুরের বিতর্কিত অঞ্চল-সহ বিভিন্ন এলাকায়। প্রতিবেশী গৃহযুদ্ধ-বিধ্বস্ত চাদে সুদান সরকারকে তার প্রভাব বিস্তারে সাহায্য করার জন্য ১৯৮০-র দশকের গোড়ার দিকে তারা প্রথম সশস্ত্র এবং সংগঠিত হয়েছিল।