Advertisment

Explained: গুজরাতে বেড়াতে গিয়ে মদ্যপান করে আইনের ফাঁসে পড়বেন না তো? জানুন নিয়ম

ভোক্তাদের জন্য সাতটি বিভিন্ন ধরনের পারমিটের ব্যবস্থা করেছে গুজরাত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Gujarat prohibition

গুজরাতে মদের উৎপাদন, বিক্রয় এবং মদ্যপান রাষ্ট্র দ্বারা জারি করা লাইসেন্স এবং পারমিটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। (ফাইল)

গান্ধীনগরের গিফট সিটির সীমানায় সম্প্রতি ঘোষিত হয়েছে গুজরাট নিষেধাজ্ঞা আইনের শিথিলতা। যা শুধুমাত্র গুজরাতের মদ্যপানকারীদের অব্যাহতিপ্রাপ্ত শ্রেণির তালিকায় যুক্ত করেছে। এখানে আইনের বিভিন্নরকম শিথিলতা আছে।

Advertisment

গুজরাতে কাকে পান করতে দেওয়া হয়?
২১ বছর বা তার বেশি বয়সি যে কেউ এই সুযোগ পেতে পারেন। প্রাক্তন সৈন্যরা ৪০ বছরের পরই এই সুযোগ পেতে পারেন। গুজরাতে মদের উৎপাদন, বিক্রয় এবং পান- রাষ্ট্র দ্বারা জারি করা লাইসেন্স আর পারমিটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। একজন ভোক্তা হিসেবে একজন ব্যক্তিকে একটি পারমিট সংগ্রহ করতে হয়। একজন প্রস্তুতকারক বা বিক্রেতাকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। ভোক্তাদের জন্য সাতটি বিভিন্ন ধরণের পারমিটের ব্যবস্থা করেছে গুজরাত। নির্দিষ্ট শর্তে মেলে পানের অনুমতি।

বিভিন্ন ধরনের পারমিট কী কী?
গুজরাতে সাতটি মদ্যপানের পারমিটের মধ্যে পাঁচটিকে স্বাস্থ্য এবং অ-স্বাস্থ্য, এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়। অন্য দুটি হল 'গ্রুপ পারমিট' এবং 'জরুরি প্রয়োজনে' 'তৎকাল' পারমিট। সব পারমিটধারী শুধুমাত্র গুজরাতজুড়ে ৭৭টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদ বিক্রেতা/দোকান থেকে বিদেশি মদ কিনতে পারবেন। এর মধ্যে একটি স্বাস্থ্য পারমিটের জন্য ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। যার পুনর্নবীকরণের জন্য বার্ষিক ২,০০০ টাকা প্রয়োজন। একটি নন-হেলথ পারমিটের খরচ এবং বৈধতা এক সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত হতে পারে। এই ফি ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

মদ্যপানের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনুমতি কী?
গুজরাতের সবচেয়ে পুরোনো পারমিটগুলোর একটি হল, ভোক্তার বয়স ৪০ বছরের বেশি হতে হবে। মাসিক আয় হতে হবে ২৫,০০০ টাকার বেশি। আবেদন করার ক্ষেত্রে একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণ থাকতে হবে। পারমিট হবে সাধারণত পাঁচ বছর বা তার কম সময়ের জন্য বৈধ। এক্ষেত্রে এরিয়া মেডিকেল বোর্ড (এএমবি) দ্বারা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য পারমিট ধারা ৬৪, গুজরাতের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য মদের প্রয়োজনের কথা বলে। গুজরাতের ৬৪বি ধারা অনুসারে, বর্তমানে গুজরাতে বসবাসকারী যে ব্যক্তি গত ১০ বছর ধরে একটি অ-নিষিদ্ধ রাজ্যে বসবাস করেছেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য মদের প্রয়োজন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর, ৬৪সি ধারা, অবসরপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা কর্মী, যাঁদের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য মদের প্রয়োজন, তাঁদের জন্য প্রযোজ্য। যাইহোক, গুজরাত সরকার ২০২২ সালের আগস্টে ৬৪সি ধারার অধীনে ভোক্তার পারমিট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, বিভাগটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন।

আরও পড়ুন- এবছরটা তো হয়েই গেল, ২০২৪-এ ভারতীয় অর্থনীতি কেমন কাটবে?

হেলথ পারমিট
ধারা ৬৪-এর অধীনে হেলথ পারমিটের জন্য আবেদনকারী একজন ব্যক্তিকে প্রসেসিং ফি হিসেবে ২,০০০ টাকা এবং মেডিকেল পরীক্ষার ফি হিসেবে আরও ২,০০০ টাকা দিতে হয়। এব্যাপারে এক সরকারি হাসপাতালের আধিকারিক জানিয়েন, চিকিৎসার কারণে 'স্ট্রেস' থেকে শুরু করে হৃদরোগ পর্যন্ত হতে পারে। গুজরাত আইন ৬৪-এর অধীনে একজন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগা ব্যক্তি পারমিট নিয়ে মদ্যপান করতে পারেন। তার মধ্যে ৪০-৫০ বছর বয়সীদের জন্য তিনটি ইউনিট, ৫০ বছরের বেশি এবং ৬৫ বছরের কম বয়সিদের জন্য চারটি ইউনিট। আর, ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য পাঁচ ইউনিট মদ কেনায় ছাড় আছে। ৬৪বি ধারা অনুযায়ী, একজন স্বাস্থ্য পারমিট ধারকের জন্য, গুজরাতে বয়স নির্বিশেষে সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য, মাসে সর্বাধিক দুটি ইউনিট মদ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।

health gujrat Defence Ministry
Advertisment