বুধবার (২ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়া থেকে বিরত রাখার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আবেদনটি 'সম্পূর্ণ ভুল ধারণা'র দ্বারা পরিচালিত বলে মনে করছে আদালত। কী ছিল আবেদনপত্রে, বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে এই প্রথম আবেদনকারীরা অভিযোগ করলেন, আবেদনকারীদের সম্পর্কে কী জানা গেল?
বিচারপতি চন্দ্রচূদের বিরুদ্ধে আর্জি কী ছিল?
আবেদনটি বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে সিজেআই হিসেবে শপথ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেয়েছিল। আগামী ৯ নভেম্বর বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের শপথ নেওয়ার কথা। পিটিশনটি বুধবারের জন্য তালিকাভুক্ত না হলেও, সকালে আবেদনকারীর কৌঁসুলি দ্বারা জরুরি তালিকার জন্য এটির উল্লেখ করা হয়েছিল এবং সিজেআই ইউইউ ললিতের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ এটি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি ললিতকেও চাইছিলেন না
তবে, আবেদনকারী প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত যাতে এই আবেদন না-শোনেন, সেই আবেদনও করেছিল। কারণ, বিচারপতি ললিতই বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রধান বিচারপতি পালটা জানিয়েছিলেন, 'আপনি মামলাটি করেছেন কি না, আমরা কেবল সেই বিষয়টাই দেখছি।'
আরও পড়ুন- অক্টোবরের শেষে দিল্লিতে লাগামছাড়া বায়ুদূষণ, গাড়ির ধোঁয়াই প্রধান কারণ, ধরা পড়ল নথিতে
প্রথম অভিযোগ
এই মামলায় বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে রশিদ খান পাঠান নামে একজনের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। সেই আবেদনে দুটি অভিযোগ করেছেন পাঠান। তার মধ্যে প্রথমটি কোভিড-১৯ টিকা সংক্রান্ত। এই সংক্রান্ত একটি মামলায়, বিচারপতি চন্দ্রচূড় একজন প্রবীণ আইনজীবীকে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, একই ধরনের মামলায় একজন নবীন আইনজীবীকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেননি।
দ্বিতীয় অভিযোগ
রশিদ খান পাঠানের দ্বিতীয় অভিযোগ, বিচারপতি চন্দ্রচূড় বম্বে হাইকোর্টের একটি আদেশের ফলে উদ্ভূত এক বিশেষ ছুটির আবেদনের শুনানি করেছেন। যেখানে তাঁর ছেলে আইনজীবী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। পাঠানের অভিযোগ, এর ফলে নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেছেন বিচারপতি। কারণ, তাঁর ছেলে যে ওই মামলায় অংশগ্রহণ করেছেন, সেটা তিনি জানতেন না, এটা হতেই পারে না।
Read full story in English