একদিনের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবুধাবিতে সেখানকার প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে দেখা করেছেন। শনিবার (১৫ জুলাই) তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর প্রতিক্রিয়ায় মোদী বলেন, 'আমি শেখ মহম্মদের কাছ থেকে সবসময় ভাইয়ের মত ভালোবাসা পেয়েছি।' পাশাপাশি, শেখ নাহিয়ানকে উদ্দেশ্য করে মোদী বলেন, 'আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক যেভাবে প্রসারিত হয়েছে, তাতে আপনি একটি বড় অবদান রেখেছেন। ভারতের প্রতিটি মানুষ আপনাকে একজন সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে দেখে।'
শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে হামেশাই তাঁর নামের আদ্যক্ষর এমবিজেড দিয়ে উল্লেখ করা হয়। শেখ মহম্মদ তাঁর সৎ ভাই শেখ খলিফা বিন জায়েদের মৃত্যুর পর ২০২২ সালের মে মাসে পশ্চিম এশিয়ার দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট হন। প্রায় দুই দশক ধরে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি শাসন করছেন। আরব বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী শাসক হিসেবে বিবেচিত শেখ মহম্মদ তার অনুসন্ধিৎসু মন এবং আচরণের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে আরব অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তিনি তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্যও আরব মহলে অতি পরিচিত এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্টে সামরিক অফিসারদের কলেজে শিক্ষিত এমবিজেড প্রাথমিকভাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সামরিক বাহিনীতে উঁচুপদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তারপরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিমান বাহিনীতে একজন পাইলট হিসেবে যোগ দেন। যদিও তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু হয়েছিল, যখন তিনি ২০০৩ সালে দেশের ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর পিতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
আরও পড়ুন- কেমন এই রাফালে নৌ যুদ্ধবিমান, যা ফ্রান্স থেকে ভারত কিনতে চলেছে?
কিন্তু এক বছরের মধ্যেই এমবিজেড ডেপুটি থেকে ক্রাউন প্রিন্সের পদে উন্নীত হন। কারণ, তাঁর বাবা মারা যান। আর, তাঁর সৎ ভাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট হন। যদিও শেখ মহম্মদ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হয়ে উঠতে বেশি সময় নেননি। ২০১৪ সালে শেখ খলিফার স্ট্রোক হওয়ার পরে, অথবা তাঁর খারাপ স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হওয়ার পর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রকৃত শাসক হয়ে উঠেছিলেন এমবিজেডই।