Advertisment

আল-বাগদাদির পর দুনিয়ার মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী কে?

ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন এফবিআই সংস্থা মাঝে মাঝেই পৃথিবীর মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীর তালিকা প্রকাশ করে থাকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Al-Baghdadi, Most Wanted

গত সপ্তাহে নিহত হয়েছে আল-বাগদাদি

গত সপ্তাহে আইসিস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর সঙ্গেই শেষ হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক ম্যানহান্ট। আর সে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে আরেক প্রতিযোগিতা। পৃথিবীর মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তির শিরোপা এখন কার!

Advertisment

ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন এফবিআই সংস্থা মাঝে মাঝেই পৃথিবীর মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীর তালিকা প্রকাশ করে থাকে। ভারতে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ) ২০১৮ সালে তাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০১১ সাল পর্যন্ত ফোর্বস পত্রিকা ওয়ার্লডস মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা প্রকাশ করত।

এখন পৃথিবীর কোন কোন ব্যক্তিকে বিভিন্ন সংস্থা পাকড়াও করতে অথবা হত্যা করতে চায়, তার একটি তালিকা এখানে দেওয়া রইল।

আরও পড়ুন, ইসলামিক স্টেটের নতুন প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল-কুরেশি কে?

আয়মান আল-জাওয়াহিরি

আয়মান আল জাওয়াহিরির মাথার দাম আড়াই কোটি টাকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরএফজে-র ওয়েবসাইটে তাকে আল কায়েদার বর্তমান নেতা এবং ইজিপ্সিয়ান ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর প্রাক্তন নেতা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ১৯৯৮ সালের কেনিয়া ও তানজানিয়ার মার্কিন দূতাবাসে বিস্ফোরণের জন্য তাকে দায়ী বলে বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে। ওই নাশকতায় ২২৪ জন অসামরিক ব্যক্তি মারা যান, আহত হন ৫০০০ জনেরও বেশি।

"২০০০ সালে ১২ অক্টোবর ইয়েমেনে ইউএসএস কোল হানার পরিকল্পনাতেও জাওয়াহিরি ছিল এক চক্রী। এ ঘটনায় ১৭ জন নাবিক মারা গিয়েছিলেন, এবং আহত হয়েছিলেন ৩৯ জন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের নাশকতাতেও হাত ছিল তার, যাতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৩০০০ জনের।" বলা হয়েছে আরএফজে ওয়েবসাইটে।

বলা হয়েছে, "আল- জাওয়াহিরি এখন আকারে ছোট কিন্তু প্রভাবশালী কয়েকজনের একটি গোষ্ঠীর নেতা, যা আল কায়েজা কোর বলে পরিচিত। এই গোষ্ঠী ছড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্ছে। তারা আমেরিকা এবং বিদেশে আমেরিকার স্বার্থবাহী প্রতিষ্ঠানে হামলা করতে বদ্ধপরিকর।"

এ ছাড়া আল-জাওয়াহিরি নিজের বার্তা রেকর্ড করে এবং তা ছড়িয়ে দেয়। আল কায়েদা ক্রমাগত চাপের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও কিছু হামলার পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে সক্ষম, যা থেকে বোঝা যায় তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর ঘরে-বাইরে আরও আক্রমণের ফন্দি আঁটছে।

হাফিজ সঈদ

পাকিস্তানের এই জঙ্গি ভারতে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হানার মাস্টারমাইন্ড এবং তার মাথার দাম এক কোটি টাকা হওয়া সত্ত্বেও সে শুধু স্বাধীন হয়ে ঘুরেই বেড়াচ্ছে না, নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে এবং বিশাল জনসমাবেশে বক্তব্য রাখছে।

আরও পড়ুন, কীভাবে মারা হল আই এস নেতা আল বাগদাদিকে?

আরএফজে-র ওয়েবসাইটে তার সম্পর্কে বলা হয়েছে, "হাফিজ মহম্মদ সঈদ আরবী এবং এঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং ইসলামী আল-এ-হাদিত সংগঠন জামাত উদ-দাওয়ার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এরা চায় ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে ইসলামি শাসন চালু হোক। এদের সামরিক শাথা লশকর-এ-তৈবা ২০০৮-এর মুম্বই হানা সহ অসংখ্য হামলার চক্রী। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলায় ৬ মার্কিন নাগরিক সহ ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।"

সিরাজুদ্দিন হাক্কানি

সিরাজুদ্দিন হাক্কানি হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের উদ্দেশ্য আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন ফিরিয়ে আনা। আরএফজে ওয়েবসাইট অনুসারে ২০০৮ সালে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের উপর প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টার কথা সে স্বীকার করেছে। এ ছাড়া আফগানিস্তানে কোয়ালিশন বাহিনী ও মার্কিন বাহিনীর উপর একাধিক হামলার ছক কষা ছাড়াও সে সব হামলায় অংশগ্রহণ করেছিল তারা।

হাক্কানিতে পাকিস্তানের উপজাতি এলাকায় দেখা গিয়েছে বলে মনে করা হয়। তারও মাথার দাম এক কোটি টাকা।

আবদুল্লা আহমেদ আবদুল্লা

আবদুল্লাও আল-কায়েদার সিনিয়র নেতা এবং তাদের নেতৃ পরিষদ মজলিস আল-শুরার সদস্যষ ২০০৩ সালে তাকে ইরানে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৫ সালে ইরানের এক কূটনীতিবিদের বিনিময়ে আরও কয়েকজন জঙ্গির সঙ্গে তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। তারও মাথার দাম এক কোটি টাকা।

আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ফোনে ঠিক কী হয়ে থাকতে পারে?

সইফ আল-আদল

আল কায়েদার সামরিক বাহিনীর মাথা এই সইফ আল আদল। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইরানে যে সব জঙ্গিকে মুক্ত করে দেওয়া হয়, তাদের অন্যতম ছিল সে। তার মাথার দামও এক কোটি টাকা।

আরএফজে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, "১৯৯০-এ আল-আদল এবং আল কায়েদার অন্যরা আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং সুদান সহ বিভিন্ন দেশে সামরিক এবং গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ দিত, যা কাজে লাগাত আল কায়েদা এবং ইজিপশিয়ান ইসলামিক জিহাদ সহ বিভিন্ন সংগঠন।"

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড

এনআইএ-র তালিকার ২৫৮ টি নামের মধ্যে ১৫টি নাম ছিল পাকিস্তানের। এর মধ্যে ছিল জাকির-উর-রহমান লকভি, আবদুর রহমান হাশিম সৈয়দ এবং সাজিদ মজিদের নামও। এনআইএ-র তালিকায় কয়েকজন মাওবাদী নেতার নামও ছিল।

মুপাল্লা লক্ষ্মণ রাও

এনআইএ তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে তেলেঙ্গানার মাওবাদী নেতা মুপাল্লা লক্ষ্ণণ রাও ওরফে গণপতির মাথার দাম সবচেয়ে বেশি। গত বছর ভগ্নস্বাস্থ্য ও বার্ধক্যের কারণ দেখিয়ে তিনি নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (RCEP)- তে কেন থাকল না ভারত?

সেপ্টেম্বর মাসে দলের নিষিদ্ধ মুখপত্র পিপলস মার্চে গণপতি বলেন, গত ৮ বছরে ভারতের বিপ্লবী আন্দোলন দুর্বল হয়েছে।

নাম্বালা কেশব রাও

নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। আইইডি বিষয়ে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ এবং সামরিক কৌশলে দক্ষ বলে পরিচিত তিনি। দলের বর্তমান পদের দায়িত্ব নেবার আগে তিনি সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশনের শীর্ষপদে ছিলেন। বাসবরাজের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা।

IS CPI Maoist Al Qaida
Advertisment