Advertisment

General Zia: জেনারেল জিয়ার মৃত্যু ষড়যন্ত্র! কীভাবে হয়েছিল, জানলে হাত-পা কাঁপবে

Revenge killing: এই মৃত্যু গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Dead Body, Kangaroo Court, Woman Assaulted

প্রতীকী চিত্র।

Who killed Pakistans former President Zia ul-Haq: পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়া উল-হক ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট, এক রহস্যময় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁর লকহিড সি-১৩০ (C-130) হারকিউলিস বিমানে পাকিস্তান সেনার বেশিরভাগ হাইকমান্ড এবং তৎকালীন পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্নল্ড রাফেল-সহ ২৯ যাত্রীকে বহন করছিল। পঞ্জাবের বাহাওয়ালপুর থেকে উড়ে যাওয়ার পরপরই বিমানটি ধ্বংস হয়। জিয়ার মৃত্যুর ৩৬ বছর পরও সি-১৩০ ধ্বংস হওয়ার কোনও স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। অভিযোগ ওঠে, ওই বিমান দুর্ঘটনা আসলে প্রযুক্তিগত সমস্যা বা একটি অন্তর্ঘাতের ফল। প্রশ্ন উঠেছে, এটা যদি নাশকতা হয়ে থাকে, তাহলে তার পিছনে দায়ী কে?

Advertisment

প্রতিশোধমূলক হত্যা

জিয়ার হত্যাকাণ্ডে প্রধান সন্দেহভাজনদের একজন ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর ছেলে মুর্তজা ভুট্টো। ১৯৭৭ সালে, এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জুলফিকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে জিয়া ক্ষমতা দখল করেন। পরবর্তীকালে, জিয়া এক বিতর্কিত বিচারে রাজনৈতিক হত্যার জন্য জুলফিকারের বিচার করেন। আর তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। তাঁর পিতার ফাঁসির পর, মুর্তজা একটি জিয়া-বিরোধী গেরিলা গ্রুপ গঠন করেন। ভ্যানিটি ফেয়ার দ্বারা প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুসারে, এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য ছিল, 'জিয়ার শাসনকে ধ্বংস করা। গেরিলা সংগঠনটি পাকিস্তানে নাশকতা, ছিনতাই এবং হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল।' ১৯৮৯ সালে আমেরিকান সাংবাদিক এডওয়ার্ড জে এপস্টাইন ওই প্রতিবেদনে এমনটাই লিখেছেন। এই গেরিলা সংগঠন প্রথমে জিয়ার সি-১৩০ (C-130) ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাফেল বিমানটিতে আরোহী বলে ঘোষণা করার পরে সেই দাবি প্রত্যাহার করে। তবে এর আগে পাঁচবার ওই গেরিলা সংগঠন জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে স্বীকার করেছেন মুর্তজা।

আরও পড়ুন- শেষ পর্যন্ত আমেরিকাই কলকাঠি নেড়ে হাসিনাকে সরাল? সেন্ট মার্টিনের কিসসা কিন্তু বহু পুরোনো

কে নেড়েছিলেন কলকাঠি?

বছরের পর বছর ধরে জিয়ার ছেলে ইজাজুল হক দাবি করেছেন যে জিয়ার তৎকালীন ভাইস চিফ জেনারেল আসলাম বেগ তাঁর বাবাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলেন। ২০১২ সালের এক সাক্ষাত্কারে, ইজাজুল বলেন, 'জেনারেল বেগ অন্য প্লেন থেকে বিমানে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের প্রভাব লুকানোর জন্য বিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছিলেন। বিমানে থাকা প্রত্যেকেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় মারা গেছে, এই সত্যটি আড়াল করার জন্য তিনি মৃতদের ময়নাতদন্তেও বাধা দেন। জহির জাইদি নামে বিমান বাহিনীর একজন কর্তার এক রিপোর্টকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি অন্য প্লেনে থেকে হামলার কথা ওই রিপোর্টে বলেছিলেন।' এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। জেনারেল বেগ দুর্ঘটনার পরপরই সন্দেহের মধ্যে পড়েন। কারণ তিনি জিয়ার সি-১৩০ বিমানে ওঠেননি। তাঁর অন্য একটি ছোট বিমানে ফেরার কথা ছিল। অনেকের দাবি, জিয়া নিজেই জেনারেল বেগের পরিবর্তে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আফজলকে সঙ্গী করেছিলেন। যাইহোক, জিয়ার মৃত্যুর পর, জেনারেল বেগ সরকার দখল করার বা ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে হতে চলা জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার কোনও চেষ্টা করেননি। সেই নির্বাচনে যখন জুলফিকার আলি ভুট্টোর মেয়ে বেনজির জয়ী হন, তখনও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাতে হস্তক্ষেপ করেনি।

accident pakistan India Death
Advertisment