একটা অতিমারী রোখা তো সহজ কথা নয়। এখনও সম্পূর্ণভাবে করোনামুক্ত হয়নি বিশ্বের একাধিক দেশ। যারা এই কোভিড লড়াইয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে তা কেবল কিছু সাধারণ ওষুধ, অক্সিজেন এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতার দৌড়ে। ভ্যাকসিন এখনও বিশ্বের সব দেশের কাছে উপলব্ধ হয়নি। আর তার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা। সেই কারণেই একটি বিস্তারিত ফিনান্সিয়াল প্রতিবেদন প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। যেখানে এমন একটি উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে যা প্রত্যেকের জন্য করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের বিকাশ এবং সঠিকভাবে সেই ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে পরিচালিত কোভাক্স ফ্যাসিলিটির জন্য ১৬ বিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন, যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে এখনই ন'টি ভ্যাকসিন তৈরির পথে রয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত ট্র্যাকিং, উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো এবং এই ভ্যাকসিনগুলির দ্রুত বিতরণের জন্য অর্থের প্রয়োজন।
হু-এর তরফে বলা হয়েছে এটি সকলের কাছে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে কমপক্ষে ৩৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেবলমাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। হু-এর তরফে সাফ জানান হয়েছে যে অবিলম্বে ১৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য। বাকি টাকা পরবর্তী মাসে উপলব্ধ হলেও ক্ষতি নেই।
কোভাক্স যদি সফল হয় তবে নিশ্চিত করা হবে যে দরিদ্র দেশগুলি যেন তা পায়। কারণ ভ্যাকসিন ন্যশনালিজম নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাঁদের মত বিশ্বের ধনী দেশগুলি আগেই ভ্যাকসিন বুকিং করে নিয়েছে। কিন্তু বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলিও যাতে এই অতিমারীর ভ্যাকসিন পায় সেই দিকেই লক্ষ্য রাখতে চেয়েছে হু।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন