আজ ১ মে, মে দিবস। এই দিনটি সারা দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা শ্রমিক দিবস হিসেবেও পরিচিত। এই দিনটিতে পৃথিবী জুড়ে শ্রমিকদের অবদান এবং ঐতিহাসিক শ্রমিক আন্দোলনের কথা স্মরণ করা হয়ে থাকে।
উত্তর গোলার্ধে এই সময়টায় বসন্তকাল। সেখানে ১ মে উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগের শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। ট্রেড ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক গোষ্ঠীগুলি এই দিনটিকে শ্রমিকদের সমর্থনে পালন করে থাকে।
এই দিনের সঙ্গে যু্ক্ত হয়ে রয়েছে ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগোয় হে মার্কেটের ঘটনা। সেদিন শ্রমিকদের সমর্থনে শান্তি মিছিল হিংস্র চেহারা নেয়, যার জেরে ৪ জন সাধারণ মানুষ ও ৭ জন পুলিশ আধিকারিক মারা যান।
এমপিল্যাড বন্ধ করে কোভিড মোকাবিলায় কতটা সুবিধে হতে পারে?
বিক্ষোভকারীরা শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন, কাজের সময় বৃদ্ধি, খারাপ ধরনের কাজের পরিবেশ, কম মজুরি ও শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন। এঁদের গ্রেফতার করা হয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ডও, যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁরা হে মার্কেট শহিদ হিসেবে পরিচিক। এই ঘটনা শ্রমিক আন্দোলনে ব্যাপক শক্তি জুগিয়েছিল বলেই মনে করা হয়ে থাকে।
আমেরিকা ১৮৯৪ সাল থেকে শ্রমিক দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করে, তারা প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিনটিকে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। কানাডাও দ্রুত সে পথে হাঁটে।
১৮৮৯ সালে, দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের সময়ে সোশালিস্ট ও লেবার পার্টি মিলে ১ মে-কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
দীর্ঘ কয়েক বছরের বিক্ষোভ ও অভ্যুত্থানের পর ১৯১৬ সালে আমেরিকা ৮ ঘন্টা কাজের দাবি মেনে নেয়।
কোভিড-১৯ ও কেরালার অভিবাসন সংকট
১৯০৪ সালে আমস্টারডামে আন্তর্জাতিক সোশালিস্ট কংগ্রেস থেকে সব দেশের সমস্ত সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে মে মাসের প্রথম দিনটিতে বড় সংস্থায় ৮ ঘন্টা কাজের দাবি, প্রোলেতারিয়েতের শ্রেণি চাহিদা এবং বিশ্বশান্তির দাবিতে প্রখর সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় এবং বলা হয়, সব দেশের সমস্ত প্রোলেতারিয় সংগঠন ১ মে শ্রমিকদের ক্ষতি না-করে কাজ করা থেকে বিরত থাকে।
১৯১৭ সালের রাশিয়ার বিপ্লবের পরে ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইস্টার্ন ব্লক এই উদযাপনকে সাদরে গ্রহণ করা হয় - এই দেশগুলিতে ১ মে হয়ে ওঠে জাতীয় ছুটির দিন। এই উদযাপনের অন্যতম অঙ্গ ছিল কুচকাওয়াজ, মস্কোর রেড স্কোয়ারে এই দিনের কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকতেন শীর্ষ কমিউনিস্ট নেতারা, প্রদর্শিত হত সোভিয়েত মিলিটারি শক্তি।
ভারতে প্রথম মে দিবস পালিত হ. ১৯২৩ সালের ১ মে। হিন্দুস্তান শ্রমিক কিসান পার্টি এবং কমরেড সিঙ্গারাভেলার (সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার) উদযাপনের আয়োজক ছিলেন।
৪৭ বছর আগের এক রায় ধরে রেখেছে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো
ত্রিপলিকেন সৈকত এবং মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিপরীতে অবস্থিত সৈকতের দুটি সমাবেশে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির আত্মসম্মান আন্দোলন এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির আন্দোলনের যোদ্ধা এই নেতা একটি প্রস্তাব পাশ করেন, যে প্রস্তাবে বলা হয়, সরকারকে শ্রমিক দিবসের দিনটিকে সকলের জন্য ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন